লাকসাম মিডিয়া গ্যালারী

#htmlcaption1 লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected

Tuesday, 5 September 2017

সকল প্রকার সেলাই মাপ বাচ্চাদের জামা,মেয়েদের কামিজ,মেয়েদের সালোয়ার

. বাচ্চাদের পরার জামা
জণ্মের পর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা যে পোশাক ব্যবহার করে তাকে জামা বলে। জামা নানা ধরনের নকশা করে বানানো যায়। যেমন-গলায় বা ঝুলে কুচি দিয়ে অথবা কুচি ছাড়া। জামা সাধারণত পাতলা কাপড় দিয়ে বানানো হয় যা দুই হাত থেকে আড়াই হাত বহরের হয়। এখন আমরা জানব ২ বছর বয়সের একটি শিশু পরতে পারবে এমন একটি কুচি ছাড়া জামা কিভাবে তৈরি করতে হবে:
প্রথমে বলা যাক দুই বছর বয়সী শিশুর জামার আনুমানিক সাইজ কেমন হবে। এক্ষেত্রে-
  • জামার ঝুলের মাপ হবে ১৬ ইঞ্চি
  • জামার বুকের মাপ হবে ২০ ইঞ্চি
  • জামার কাঁধের মাপ হবে ঌ ইঞ্চি
  • জামার গলার লম্বার মাপ হবে ২১/২ ইঞ্চি
  • জামার গলার চওড়ার মাপ হবে ২ ইঞ্চি

কিভাবে জামার জন্য নির্ধারিত কাপড়টি কাটতে হবে নিয়মগুলো হলঃ
  • জামা বানানোর জন্য প্রথমে ২ হাত বহরের (আনুমানিক/মনে করি) আধা গজ কাপড় নিতে হবে।
  • এই কাপড়টি আড়াআড়িভাবে ৪ ভাঁজ করতে হবে।
  • ১৬ ইঞ্চি ঝুল রাখার জন্য কাপড়টি লম্বায় ১৭ ইঞ্চি ও চওড়ায় ৮ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত ১ ইঞ্চি কাপড় লাগবে ঝুল মুড়ে সেলাই করার জন্য।
  • এবার কাপড়ের যেদিকে ভাঁজের লাইন আছে সেদিক থেকে গলা কাঁটার জন্য আড়াই ইঞ্চি ও আওড়ার জন্য দুই ইঞ্চি মাপ নিতে হবে। এটা হল গলার আদর্শ মাপ। প্রয়োজন বা পছন্দমত গলা আরও বড় করা যাবে।
  • এবার এই মাপমত গলার লম্বা ও চওড়ার দিকে দাগ টেনে দিতে হবে।
  • এরপর গলার লম্বা ও চওড়ার দাগ যেখানে মিলেছে ঠিক সেখান থেকে ভিতরের দিকে আধা ইঞ্চি মেপে একটি দাগ দিতে হবে। তারপর এই দাগের উপর দিয়ে নিমার পিছনের গলার মাপ দিতে হবে।
  • জামার পিছনের গলার থেকে সামনের গলা কমপক্ষে আধা ইঞ্চি বেশি কাটতে হয়। এজন্য পিছনের গলার মত সামনের গলা একইভাবে আরও আধা ইঞ্চি বেশি মেপে বাঁকাভাবে দাগ দিতে হবে।
  • এরপর (যেদিক থেকে গলার মাপ নেয়া হয়েছে সেদিক থেকে) গলার দিক থেকে কাপড়ের চওড়ার দিকে সাড়ে চার ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। এটা হল কাঁধলাইনের মাপ।
  • কাঁধলাইনের শেষ মাথা থেকে নিচের দিকে আধা ইঞ্চি মেপে দাগ দিয়ে এই দাগের সাথে গলার দাগ যোগ করে একটি লাইন টানতে হবে।
  • আবার কাঁধলাইনের উপর দিক থেকে নিচের দিকে ৫ ইঞ্চি (নিমার কাঁধ ঌ ইঞ্চি, ঌ ইঞ্চির অর্ধেক সাড়ে চার ইঞ্চি আর সেলাইয়ের জন্য আধা ইঞ্চি বেশি নিতে হবে) মেপে দাগ দিতে হবে।
  • কাপড়ের ভাঁজলাইন থেকে চওড়ার দিকে বুকলাইনের জন্য সাড়ে ছয় ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে।  কারণ এই নিমার বুকের চওড়ার মাপ হল ২০ ইঞ্চি, ঢিলার মাপ  চার ইঞ্চি, আর দুই পাশের সেলাইয়ের জন্য কাপড় বেশি লাগবে ২ ইঞ্চি। তাহলে মোট ২৬ ইঞ্চি কাপড় কাটতে হবে। এখানে কাপড়টি চার ভাঁজ করা হয়েছে। এই নিমার বুক ২০ ইঞ্চি যার ৪ ভাগের ১ ভাগ হল ( ৫ ইঞ্চি + ঢিলা ১ ইঞ্চি + সেলাই ১/২ ইঞ্চি) = ৬১/২ ইঞ্চি।
  • তারপর এই দাগ দুটি যেখানে মিলেছে তার উপরের দিকে ১ ইঞ্চি মেপে একটি দাগ দিতে হবে। এবার এই দাগের উপর দিয়ে নিমার পিছনের বগলের ঘের হিসেবে দাগ দিতে হবে। একইভাবে নিমার সামনের বগলের জন্য প্রথম বাঁকা দাগের পিছনের দিকে আধা ইঞ্চি বেশি নিয়ে বাঁকা করে দাগ দিতে হবে।
  • আবার বগলের ঘেরের শেষ মাথা থেকে ঝুল পর্যন্ত দাগ দিতে হবে।
  • এরপর নিমার ঝুলের ২ কোণার সেপের জন্য ঝুলের দিক থেকে উপরের দিকে ১ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে।
  • এরপর ঐ দাগ থেকে নিমার ঝুলের মাঝখান পর্যন্ত বাঁকা করে দাগ দিতে হবে।
  • এরপর পিছনের গলার অংশটুকু বাঁকা করে কাটতে হবে।
  • তারপর কাঁধে লাইন কাটি। সেইসাথে পিছনের বগলের ঘেরের অংশটুকুও বাঁকা করে কাটতে হবে।
  • এবার জামার পাশের ঘেরের অংশটুকু কাটতে হবে। তারপর ঝুলের নিচের দাগ দেওয়া অংশটুকু কাটতে হবে।
  • এবার উপর থেকে দাগ দেওয়া কাপড়ের টুকরাটি নিয়ে নিতে হবে। একইভাবে সামনের অংশের গলা ও বগলও কেটে ফেলতে হবে।

এবার কিভাবে কাপড়টি জামার মত করে সেলাই করতে হবে তা জানা দরকার। এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবেঃ
  • প্রথমে কাটা জামার একটি ভাঁজ খুলে একটি অংশের উপর আরেকটি অংশ রাখতে হবে।
  • এরপর একে একে নিমার দুই কাঁধ সেলাই করতে হবে।
  • এরপর গলা ও হাতা সেলাই করতে হবে।
  • এরপর জামার লম্বার (ঘের) দুই পাশ সেলাই করতে হবে।
  • তারপর জামার ঝুলের অংশ সেলাই করতে হবে।
  • এবার জামাটি উল্টিয়ে নিতে হবে। এভাবেই ধাপে ধাপে একটি জামা তৈরি হয়ে যাবে।

সুবিধার জন্য বয়স অনুযায়ী জামার কয়েকটি সাইজের আদর্শ মাপগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ





 মেয়েদের পরার কামিজ
যে কোন বয়সের মহিলারাই এখন কামিজ ব্যবহার করে থাকে। আজকাল দেখা যায় ছোট ছোট বাচ্চারাও এই পোশাক ব্যবহার করে। সুতি, সিল্ক, জর্জেট ইত্যাদি যেকোনো ধরনের কাপড় দিয়ে কামিজ বানানো যায় যার সাথে সালোয়ার বলে আরেকটি পোশাকও পরতে হয়। প্রথমে কামিজ ও তারপর সালোয়ার কিভাবে তৈরি করতে হবে তা আলোচনা করা হবে। প্রথমে জানা যাক ১৫-২০ বছর বয়সের একটি মেয়ে পরবে এরকম দুই হাত, আড়াই হাত বা তিন হাত বহরের একটি কামিজের মাপ কি হবে, কিভাবে তা কাটতে হবে এবং কিভাবে কাটা কাপড়টি সেলাই করতে হবে। প্রথমে বলা যাক ১৫-২০ বছর বয়সী মেয়ের কামিজের আনুমানিক সাইজ কেমন হবে। এক্ষেত্রে-
  • কামিজের ঝুলের মাপ হবে ৪৮ ইঞ্চি
  • কামিজের বুকের মাপ হবে ৩৬ ইঞ্চি
  • কামিজের কাঁধের মাপ হবে ১৬ ইঞ্চি
  • কামিজের নিচের ঘেরের মাপ হবে ৪২ ইঞ্চি
  • কামিজের গলার লম্বার মাপ হবে ৫ ইঞ্চি
  • কামিজের গলার চওড়ার মাপ হবে ২১/২ ইঞ্চি
  • কামিজের কোমরের মাপ হবে ৩০ ইঞ্চি
  • কামিজের হাতার মুহুরীর মাপ হবে ১২ ইঞ্চি
  • কামিজের হাতার লম্বা হবে ১১ ইঞ্চি
  • কামিজের হাতার চওড়ার মাপ হবে ১৬ ইঞ্চি
  • কামিজের হিপের মাপ হবে ৪০ ইঞ্চি

এখন কিভাবে কামিজের জন্য নির্ধারিত কাপড়টি কাটতে হবে তার নিয়মগুলো হল:
  • প্রথমে আড়াই হাত বহরের (ধরে নেই) আড়াই গজ কাপড় নিতে হবে। কাপড়টিকে আড়াআড়িভাবে চার ভাঁজ করতে হবে।
  • এরপর ৪৮ ইঞ্চি ঝুল রাখার জন্য কাপড়টি লম্বায় ৪ঌ ইঞ্চি ও চওড়ায় ১১ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত ১ ইঞ্চি কাপড় লাগবে ঝুল মুড়ে সেলাই করার জন্য।
  • এবার নিমার মত একইভাবে কাপড়ের ভাঁজ লাইনের দিক থেকে গলার মাপ নিতে হবে। সামনের গলার জন্য লম্বার মাপ নিয়ে দাগ ৫ ইঞ্চি আর চওড়ায় মাপ নিয়ে ২১/২ ইঞ্চি দাগ দিতে হবে।
  • লম্বা ও চওড়ার মাপ যেখানে মিলেছে সেখান থেকে ভিতরের দিকে ১/২ ইঞ্চি মেপে ছোট একটি দাগ দিতে হবে।
  • এবার এই দাগের উপর দিয়ে বাঁকা করে দাগ দিতে হবে যা হবে সামনের গলার মাপ।
  • কামিজের পিছনের গলার জন্য লম্বার মাপ নিয়ে দাগ দিতে হবে ৩ ইঞ্চি। এরপর আগের মত একইভাবে নিচের দিকে বাঁকা করে দাগ দিতে হবে। মনে রাখবেন, সামনের গলা সবসময় কমপক্ষে ১ ইঞ্চি বেশি কাটতে হয়।
  • এবার গলার দিক থেকে কাপড়ের চওড়ার দিকে ৮ ইঞ্চি লম্বা মেপে দাগ দিতে হবে যা হবে কাঁধলাইন।
  • আগের মত কাঁধলাইনের শেষ মাথা থেকে নিচের দিকে ১/২ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। এবার এই দাগের সাথে গলার দাগ যোগ করে একটি লাইন টানতে হবে।
  • তারপর কাঁধলাইনের উপর দিক থেকে নিচের দিকে ৮১/২ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। এই মাপ নেওয়ার নিয়ম হচ্ছে- (কাঁধের অর্ধেক ৮ ইঞ্চি + সেলাইয়ের জন্য বেশি নিতে হবে ১/২ ইঞ্চি)= মোট ৮১/২ ইঞ্চি৷
  • এখন কাপড়ের ভাঁজলাইন থেকে চওড়ার দিকে ১১ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। এটা হল বুকলাইনের মাপ। এই কামিজের বুকের মাপ হচ্ছে ৩৬ ইঞ্চি যার ৪ ভাগের ১ ভাগ (ঌ ইঞ্চি + ঢিলা ১ ইঞ্চি + ১ ইঞ্চি সেলাই) = ১১ ইঞ্চি।
  • তারপর একটি দাগ টেনে বুকলাইন ও কাঁধলাইন যোগ করতে হবে। এই ২টি দাগ যেখানে মিলেছে তার সামনের দিকে ১ ইঞ্চি মেপে একটি ছোট দাগ দিতে হবে।
  • এবার বাঁকা করে কামিজের পিছনের বগলের ঘেরের মাপ হিসেবে দাগ দিতে হবে।
  • একইভাবে কামিজের সামনের বগলের জন্য প্রথম বাঁকা দাগের পিছনের দিকে ১/২ ইঞ্চি মেপে বাঁকা করে দাগ দিতে হবে।
  • এবার কোমরের সেপের জন্য মাপ নিতে হবে। এজন্য কাঁধ থেকে ঝুলের দিকে লম্বায় ১৪ ইঞ্চি ও চওড়ায় ৮ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে।
  • এবার হিপের সেপের জন্য কাঁধলাইন থেকে হিপ (কোমরের নিচের অংশ) পর্যন্ত ১২ ইঞ্চি লম্বা আর চওড়ায় ১০ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে।
  • তারপর কাঁধলাইন থেকে ঝুল পর্যন্ত লম্বায় ৪৮ ইঞ্চি আর কামিজের ঝুলের ঘেরের জন্য চওড়ায় ১১ ইঞ্চি মাপ নিয়ে দাগ দিতে হবে।
  • এবার বগলের শেষ মাথা থেকে বুকের দাগ পর্যন্ত (যেখানে ৮ ইঞ্চি চওড়া মেপে দাগ দেওয়া হয়েছে) বাঁকাভাবে দাগ টেনে দিতে হবে।
  • এরপর ঐ বাঁকা দাগের শেষ মাথা থেকে হিপ পর্যন্ত (যেখানে ১০ ইঞ্চি চওড়া মেপে দাগ দেওয়া হয়েছে) বাঁকাভাবে দাগ দিতে হবে।
  • এরপর হিপ থেকে ঝুল পর্যন্ত (যেখানে ১১ ইঞ্চি চওড়া মেপে দাগ দেওয়া হয়েছে) দাগ দিতে হবে। এবার নিমার মত কামিজের পিছনের গলা, কাঁধলাইন ও বগল কাটতে হবে।
  • এরপর বগল থেকে ঝুল পর্যন্ত দাগ অনুযায়ী কাটতে হবে।
  • এই কামিজের দুইটি অংশ আছে। সেজন্য উপর থেকে দাগ দেওয়া কাপড়টি নিয়ে নিমার মত একইভাবে সামনের অংশের গলা ও বগল কাটতে হবে।
  • কামিজ কাটার কাজ শেষ হবার পর কামিজের হাতার মাপ নিতে হবে। এজন্য অবশিষ্ট কাপড়টি ৪ ভাঁজ করতে হবে। এই কাপড় থেকে হাতার লম্বার মাপ  ১১ ইঞ্চি আর চওড়ার মাপ  ৮১/২ ইঞ্চি নিতে হবে।
  • এবার হাতার বগল কাটার জন্য মাপ নিতে হবে। এজন্য কাপড়ের লম্বার দিক থেকে ৩১/২ ইঞ্চি মাপ নিয়ে দাগ দিতে হবে।
  • এবার বগলের সেপের জন্য ছবির মত বাঁকা করে দাগ দিতে হবে।
  • গলা ও বগলের মত হাতার সামনের অংশের জন্য পৌনে এক ইঞ্চি বেশি কাটতে হয়। সেজন্য ঐ বাঁকা দাগের মাঝখান থেকে পিছনের দিকে পৌনে এক ইঞ্চি মেপে ছোট দাগ দিয়ে তার উপর দিয়ে বাঁকা করে আরেকটি দাগ দিতে হবে।
  • এবার ভাঁজলাইনের দিক থেকে হাতার ঘেরের জন্য ৬ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। এই কাপড়টি কাটলে দুটি হাতা পাওয়া যাবে।
  • এবার কাপড়ের ভাঁজলাইনের দিক থেকে প্রথম বাঁকা দাগের উপর দিয়ে বগল কাটতে হবে।
  • এরপর বগল থেকে হাতার মুহুরী পর্যন্ত দাগের উপর দিয়ে কাটতে হবে। এখানে দুটি হাতা একই সাথে আছে। এবার গলা ও বগলের অংশের মত দুই হাতার সামনের অংশ একইসাথে কাটতে হবে।

এবার কিভাবে কাপড়টি কামিজের মত করে সেলাই করতে হবে তা জানা দরকার। এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবেঃ
  • প্রথমে কামিজের ২ কাঁধ ১/২ ইঞ্চি চওড়া করে সেলাই করতে হবে।
  • এরপর ১/২ ইঞ্চি চওড়া করে কামিজের দুই পাশ সেলাই করতে হবে। কামিজের দুই পাশের যে অংশটুকু খোলা রাখতে চান ঐ অংশটুকু সেলাই ছাড়া রাখতে হবে।
  • এবার কামিজের ২ হাতার মুহুরী সেলাই করতে হবে।
  • কামিজের দুই হাতার লম্বার দিকে সেলাই করতে হবে।
  • সেলাই করা কামিজটি হাত দুটোসহ সোজা করে নিতে হবে। কামিজের বগলের ভিতর দিয়ে হাতাটা এমনভাবে ঢুকিয়ে দিতে হবে যেন কামিজের বগলের উপর হাতার বগল থাকে। এরপর কামিজের বগলের সাথে হাতের বগল সেলাই করে জোড়া দিতে হবে।
  • এরপর কামিজের হুক লাগাতে হয় অথবা হুক ছাড়াও রাখা যায়। হুক না দিলে কামিজের গলা দিয়ে মাথা ঢুকবে এরকম বড় গলা করতে হয়।
  • এবার গলা সেলাইয়ের জন্য কোণাকুণিভাবে কয়েক টুকরা কাপড় কাটতে হবে। এই কাপড়ের টুকরাগুলো সেলাই করে জোড়া দিতে হবে।
  • এরপর কামিজের গলার সাথে টুকরা কাপড় সেলাই করে জোড়া দিতে হবে। কামিজে নিচের ঘের বা মুহুরীও সেলাই করতে হবে।
  • এরপর কমিজের দুই পাশে খোলা অংশটুকু ১ ইঞ্চি ভাঁজ করে সেলাই করতে হবে। এভাবেই ধাপে ধাপে কামিজটি তৈরি হয়ে যাবে।

সুবিধার জন্য নানা বয়স অনুযায়ী কামিজের কয়েকটি সাইজের আদর্শ মাপ নিচে দেওয়া হলোঃ
 





 মেয়েদের পরার সালোয়ার
সালোয়ার পোশাকটি সাধারণত মেয়েরাই বেশি ব্যবহার করে থাকে। যেকোনো সালোয়ারেরই দুটি অংশ থাকে। যেমনঃ

১. কোমরের অংশ যাকে কোমর পট্টি বলে।
২. কোমরের নিচের অংশ যাকে পায়ের অংশ বলে।

সালোয়ারের প্রতিটি পায়ে আবার ৩টি অংশ থাকে। একটি হলো মধ্য অংশ যার দুই পাশে কলির দুটি অংশ জোড়া দিতে হয়। সালোয়ারের পায়ের মধ্য অংশের দুই পাশে দুই টুকরা কাপড় থাকে। এই দুই টুকরা কাপড়কে কলি বলে। এখন আমরা ১৫-২০ বছর বয়সের একটি মেয়ে পরতে পারবে এমন একটি সালোয়ার কিভাবে তৈরি করতে হবে তা আলোচনা করবোঃ

প্রথমে বলা যাক ১৫-২০ বছর বয়সী মেয়ের সালোয়ারের আনুমানিক সাইজ কেমন হবে। এক্ষেত্রে-

ঝুল ৪০ ইঞ্চি
কোমর পট্টির লম্বা ৭ ইঞ্চি ও চওড়া ৪০ ইঞ্চি
কোমরের নিচের অংশের লম্বা ৩৩ ইঞ্চি ও চওড়া ২০ ইঞ্চি
কোমর- ৪০ ইঞ্চি
হাই- ১৫ ইঞ্চি
হিপ- ৪০ ইঞ্চি
মুহুরী- ১৮ ইঞ্চি

এখন কিভাবে সালোয়ারের জন্য নির্ধারিত কাপড়টি কাঁটার নিয়মগুলো জেনে নেই:

  • সালোয়ার বানানোর জন্য প্রথমে আড়াই হাত বহরের (ধরে নেই) ২ গজ কাপড় নিতে হবে। কাপড়টিকে লম্বালম্বিভাবে ৪ ভাঁজ করতে হবে।
  • ভাঁজ করা এই কাপড় থেকে প্রথমে কোমর পট্টির কাপড় কেটে নিতে হবে। এই কাপড়টি লম্বায় হবে ৭ ইঞ্চি। আর কোমর পট্টি ৭ ইঞ্চি রাখার জন্য কাপড় কাটতে হবে লম্বায় ঌ ইঞ্চি আর চওড়ায় ১০ ইঞ্চি। এখানে কোমর পট্টি হবে (৭ ইঞ্চি + কোমরের ভাঁজ ১১/২ ইঞ্চি + সেলাই ১/২ ইঞ্চি) = মোট ঌ ইঞ্চি।
  • এরপর এই কাপড় থেকেই সালোয়ারের ২ পায়ের মধ্য অংশের জন্য ২ টুকরা কাপড় কাটতে হবে। সালোয়ারের মধ্য অংশের লম্বা ৩৩ ইঞ্চি আর চওড়া ২০ ইঞ্চি হবে (সালোয়ারের মধ্য অংশের চওড়ার মাপ হবে হিপের মাপের অর্ধেক)।
  • কাপড়টির ৪ ভাঁজ থেকে একটি ভাঁজ খুলতে হবে। তাহলে কাপড়টি ২ ভাঁজ হবে। এবার কলির কাপড় কাটতে হবে। এক্ষেত্রে সালোয়ারের ২ পায়ের জন্য ৪ টুকরা লাগে। এই অংশের লম্বা হবে ৩৩ ইঞ্চি আর চওড়া হবে ২০ ইঞ্চি। চওড়ার মাপ নেওয়ার নিয়ম হচ্ছে হিপের মাপের অর্ধেক দিতে হবে।
  • এই কাপড়টি দুই ভাগ করে দাগ দিতে হবে। এমনভাবে দাগ দিতে হবে যেন কাপড়ের উপরের দিকে বামপাশে ১৮ ইঞ্চি ও ডানপাশে ২ ইঞ্চি থাকে। আর এই কাপড়ের নিচের দিকে ডানপাশে ১৮ ইঞ্চি থাকে আর বামপাশে ২ ইঞ্চি থাকে। এখন মাঝের দাগ থেকে এই কাপড়টিকে কোণাকুণিভাবে সমান দুই ভাঁজ করতে হবে।
  • এবার মাঝখানের ভাঁজ বরাবর কাপড় কেটে নিতে হবে। কাটার পর কাপড়টি তিন টুকরা হবে যেখানে এক টুকরা থাকবে দু ভাঁজ করা। ভাঁজ করা কাপড়টি পরে সমান দুই টুকরা করতে হবে।
  • কোণাকুণিভাবে কাটা কাপড়ের একটি অংশের উপর আরেকটি অংশ এমনভাবে রাখতে হবে যেন কাপড়ের চওড়ার পাশ (১৮ ইঞ্চি দাগ দেওয়া) চওড়ার দিকে থাকে। আর চিকন পাশ (২ ইঞ্চি দাগ দেওয়া) চিকন দিকে থাকে।
  • এই কাপড়ের যেদিকে ১৮ ইঞ্চি আছে সেদিক থেকে লম্বায় ৮ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে।
  • এবার এই দাগের নিচের দিক থেকে (৮ ইঞ্চি দাগ দেওয়া দিক) সামান্য বাঁকা করে দাগ দিতে হবে। এই অংশটা হল সালোয়ারের হাই।
  • এবার এই দাগের উপর দিয়ে সামান্য বাঁকা করে কাটতে হবে। এরপর আগের দু ভাঁজ করা কাপড়ের টুকরাটি নিতে হবে। ভাঁজের উপর দিয়ে টুকরোটি কেটে কাপড় সমান করে দুই টুকরা করতে হবে। তাহলে কাটা অংশে মোট ৪টি টুকরা হবে।
     
এবার কিভাবে কাপড়টি সালোয়ারের মত করে সেলাই করতে হবে তা জানা দরকার। এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবেঃ
  • সালোয়ারের ২ পায়ের মধ্য অংশের জন্য ২ টুকরা কাপড় কাটা আছে। এখান থেকে ১ টুকরা কাপড় নিতে হবে।
  • এই কাপড়ের দুই দিকে কলির ২টি অংশ একে একে সেলাই করে জোড়া দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, জোড়া দেওয়ার সময় কলির চওড়ার দুই দিক থাকবে উপরের দিকে আর চিকন দুই দিক থাকবে নিচের দিকে।
  • এবার সালোয়ারের পায়ের মুহুরীর জন্য ১৮ ইঞ্চি লম্বা ও ১১/৪ ইঞ্চি চওড়া করে দুই টুকরা বকরম কেটে নিতে হবে।
  • এরপর অবশিষ্ট কাপড় থেকে ১৮ ইঞ্চি লম্বা ও ১১/৪ ইঞ্চি চওড়া করে কাপড় কেটে নিতে হবে। কাটা ঐ টুকরা কাপড় থেকে এক টুকরা কাপড় নিয়ে তার উপর এক টুকরা বকরম রাখতে হবে। তারপর তা সেলাই করে জোড়া দিতে হবে।
  • এবার সালোয়ারের পায়ের সোজা পাশের মুহুরীর দিকে সেলাই করা টুকরোটি এমনভাবে রাখতে হবে যেন বকরমটি উপরের দিকে থাকে। এবার সালোয়ারের পায়ের সাথে তা সেলাই করে জোড়া দিতে হবে।
  • সেলাইয়ের পর সালোয়ার উল্টিয়ে নিতে হবে। তাহলে বকরমটি পায়জামার পায়ের ভিতরের দিকে থাকবে। এবার সালোয়ারের পায়ে পছন্দমত নকশা করে সেলাই করতে হবে।
  • তারপর পায়ের মুহুরী থেকে হাই পর্যন্ত সেলাই করে জোড়া দিতে হবে। একইভাবে সালোয়ারের আরেকটি পা সেলাই করতে হবে।
  • এখন একটি পায়ের হাই -এর উপর আরেকটি পায়ের হাই-এর অংশ রাখতে হবে। এরপর তা সেলাই করে জোড়া দিতে হবে।
  • তারপর কোমরপট্টি ১১/২ ইঞ্চি ভাঁজ করে সেলাই করতে হবে। সেলাইয়ের পর এই অংশে ফিতা ঢুকানোর জন্য সামান্য একটু জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।
  • এবার সালোয়ারের পায়ের অংশের কোমরের দিকের কোমরপট্টির নিচের অংশ সেলাই করে জোড়া দিতে হবে। এখন সালোয়ারটি উল্টিয়ে দিলেই তা তৈরি হয়ে যাবে।

সুবিধার জন্য বয়স অনুযায়ী সালোয়ারের কয়েকটি সাইজের আদর্শ মাপ নিচে দেওয়া হলোঃ





সবশেষে বলা যায়, এভাবে শার্ট, প্যান্ট, ব্লাউজ, শিশুদের জামা ইত্যাদি অনেক কিছু তৈরি করা যায়। তবে মনে রাখা দরকার, বয়স অনুযায়ী যেকোনো পোশাক তৈরি করার সময় কাপড় কাটার সাইজ বা পরিমাপও ভিন্ন হবে। যেমন- ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের ছেলেদের হাফ হাতা শার্টের আনুমানিক সাইজ হবে নিচের মাপ অনুযায়ীঃ
  • কাপড়ের পরিমাণ ২ গজ
  • ঝুলের মাপ হবে- ৩০ ইঞ্চি
  • বুকের মাপ হবে- ১২ ইঞ্চি
  • কাঁধের মাপ হবে- ২০ ইঞ্চি
  • গলার লম্বার মাপ হবে- ১৪১/২ ইঞ্চি
  • গলার চওড়ার মাপ হেব- ৩১/২ ইঞ্চি
  • পকেটের মুখের মাপ হবে- ৫ ইঞ্চি
  • হাতের লম্বার মাপ হবে- ১১ ইঞ্চি
  • হাতের চওড়ার মাপ হবে- ১৬ ইঞ্চি


4 comments:

Thank you so much. অনেক ভাল ছিল

এত সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিতে পারা, আবার পরিমাপও দিয়ে দেওয়া বাংলাদেশের বেস্ট ব্লগ রাইটিং। এগিয়ে যান দোয়া করি

Post a Comment