লাকসাম মিডিয়া গ্যালারী

#htmlcaption1 লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected

নাট্যকর্মী নেবে লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস

যোগাযোগ এম এ জলিল....+8801716496603 এম সোহেল......+8801825399243 E-mail...lakshammultimediahouse@gmail.com www.facebook.com/lakshammultimediahouse www.lakshamlive.blogspot.com

লাকসাম উপজেলা.

লাকসাম উপজেলা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। কুমিল্লা সদর থেকে মাত্র ২৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ডাকাতিয়া নদীর তীরে এই উপজেলাটি অবস্থিত। বর্তমানে লাকসাম একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। লাকসাম শহরটি বাণিজ্যের শহর হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের বৃহত্তম পাঁচটি রেলওয়ে জংশনের মধ্যে একটি এখানে অবস্থিত। লাকসাম থানাকে উপজেলায় রুপান্তরিত করা হয় ১৯৮২ সালে।

আকর্ষণীয় স্থান সমূহ.

অনেকেই এক দিনের ছুটিতে ঘুরার জন্য প্লেন খুঁজে বেরায়, আর আমি নিয়ে এলাম একদিন ঘুরার দারুণ এক প্লেন। প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক ভ্রমণপিপাসুরা ঘুরতে আসে কুমিল্লায়। কুমিল্লাতে বহুসংখ্যক পর্যটন আকর্ষন রয়েছে। কুমিল্লার লালমাই ময়নামতি পাহাড়ে একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। এখানে রয়েছে শালবন বিহার, কুটিলা মুড়া, চন্দ্রমুড়া, রূপবন মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, সতের রত্নমুড়া, রাণীর বাংলার পাহাড়, আনন্দ বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের প্রাসাদ, চন্ডীমুড়া প্রভৃতি।

ছোট নাটিকা.

জুনিয়র প্রেমিকলেখাঃ রাজিব (দরিদ্র বালক)ঠাস করে একটা শব্দ, ডান গালে তীব্র ব্যথা, চোখেমুখে অন্ধকার দেখছি! চোখ বন্ধ করে গালে হাত দিয়ে চুপ করে অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর চোখ খুলে দেখি মেয়েটি সামনে এখনো দাঁড়িয়ে আছে! চশমা পরা, রাগী চেহারা, রাগে মুখ লালচেহয়ে আছে! কিছু একটা হয়েছে, কিহয়েছে?এসো একটু পেছনে যাই..ব্যস মাত্র পাঁচ মিনিট...এসো.."

লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস.

লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস

Wednesday, 4 October 2017

ইংরেজি মাসের নামের ইতিহাস

আমরা যে ইংরেজি বর্ষ পালন করি তা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের আগে ছিল জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের প্রচলন। জুলিয়ান ক্যালেন্ডারেরও আগে রোমানরা গ্রিক পঞ্জিকা অনুযায়ী বছর ধরতো ৩০৪ দিনে। যাকে ১০ মাসে ভাগ করা হয়েছিল। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির জন্ম তখনো হয়নি। মার্চ ছিল বছরের প্রথম মাস। এক সময় রাজা নুমা পম্পিলিয়াস দেখলেন ৩০৪ দিন হিসেবে বছর করলে প্রকৃতির সঙ্গে মিলছে না। খ্রিস্টপূর্ব ৭৯৩ অব্দে তিনি বছরের সাথে যোগ করলেন আরো ৬০ দিন। বছরের দিন বৃদ্ধি পেল ঠিকই সঙ্গে সমস্যাও বৃদ্ধি পেল। ঋতুর চেয়ে সময় এগিয়ে আছে ৩ মাস। তখনই জুলিয়াস সিজার ঢেলে সাজালেন বছরকে। নতুন দুটি মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিকে নিয়ে এলেন বছরের প্রথমদিকে।

এবার দেখা যাক কিভাবে এলো এই ইংরেজি মাসের নাম—

 

জানুয়ারি

রোমে ‘জানুস’ নামক এক দেবতা ছিল। রোমবাসী তাকে সূচনার দেবতা বলে মানতো। কোনোকিছু করার আগে তারা এই দেবতার নাম স্মরণ করতো। তাই বছরের প্রথম নামটিও তার নামে রাখা হয়। আরেকটি তথ্য মতে, ‘জানুস’-এর ছিল দুটি মুখ। একটি সামনে, অন্যটি পেছনে। একটি মুখ তাকিয়ে আছে অনাগত ভবিষ্যতের দিকে, অন্যটি বিদায়ী অতীত পানে। আর তাই তার সাথে মিল রেখে জানুয়ারিকে বছরের প্রথম মাস করা হয়।

 

ফেব্রুয়ারি

যিশুখ্রিস্টের জন্মের ৪৫০ বছর আগে দ্বিতীয় মাস হিসেবে ফেব্রুয়ারির প্রচলন ছিল। সেকালে রোমানরা ‘ফেব্রুয়া’ নামে চিত্তশুদ্ধির উত্সব পালন করতো। ‘ফেব্রুয়া’ মানে পবিত্র। রোমানরা তাই এই মাসটিকে পবিত্র মনে করে।

 

মার্চ

ুরোমান যুদ্ধ দেবতা ‘মারস’-এর নামানুসারে তারা মার্চ মাসের নামকরণ করেন।

 

এপ্রিল

বসন্তের দ্বার খুলে দেওয়াই এপ্রিলের কাজ। তাই কেউ কেউ ধারণা করেন ল্যাটিন শব্দ ‘এপিরিবি’ (যার অর্থ খুলে দেওয়া) থেকে এপ্রিল এসেছে।

 

মে

রোমানদের আলোকে দেবী ‘মেইয়ার’-এর নামানুসারে মাসটির নাম রাখা হয় মে।

 

জুন

রোমানদের নারী, চাঁদ ও শিকারের দেবী ছিলেন ‘জুনো’। আর তার নামেই জুনের নামকরণ করেন তারা।

 

জুলাই

জুলিয়াস সিজারের নামানুসারে জুলাই মাসের নামকরণ। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বছরের প্রথমে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিকে স্থান দিয়ে তিনি নিজেই নিজেকে দূরে সরিয়ে দেন।

 

আগস্ট

জুলিয়াস সিজারের পর রোমের সম্রাট হন তারই ভাইয়ের ছেলে অগাস্টাস সিজার। তারই নামানুসারে এই মাসটির নামকরণ করা হয় ‘আগস্ট’।

 

সেপ্টেম্বর

সেপ্টেম্বর শব্দের শাব্দিক অর্থ সপ্তম। কিন্তু সিজারের বর্ষ পরিবর্তনের পর তা এসে দাঁড়ায় নবম মাসে। তারপর এটা কেউ পরিবর্তন করেনি।

 

অক্টোবর

‘অক্টোবর’-এর শাব্দিক অর্থ অষ্টম। সেই মতে এটা অষ্টম মাস হওয়ার কথাঅ কিন্তু সেই অষ্টম মাস আমাদের ক্যালেন্ডারের এখন স্থান পেয়েছে দশম মাসে।

 

নভেম্বর

‘নভেম’ শব্দের অর্থ নয়। সেই অর্থানুযায়ী তখন নভেম্বর ছিল নবম মাস। জুলিয়াস সিজারের কারণে আজ নভেম্বরের স্থান এগারোতে।

 

ডিসেম্বর

ল্যাটিন শব্দ ‘ডিসেম’ অর্থ দশম। সিজারের বর্ষ পরিবর্তনের আগে অর্থানুযায়ী এটি ছিল দশম মাস। কিন্তু আজ আমাদের কাছে এ মাসের অবস্থান ক্যালেন্ডারের শেষপ্রান্তে।

 

জুলাই ও আগস্ট এ মাস দুটোর নাম আগে ছিল ‘কুইন্টিলিস’ ও ‘সিক্সিলিস’। অর্থাত্ পঞ্চম ও ষষ্ঠ। জুলিয়াস সিজার যখন রোমের সম্রাট হন তখন তিনি নিজের নামটিকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করার জন্যই কুইন্টিলিস-এর পরিবর্তে নাম দিলেন নিজের নাম জুলিয়াস। এতেও কিন্তু জুলিয়াস ক্ষান্ত হলেন না, আরো গৌরব বাড়ানোর জন্য ৩০ দিনের এ মাসকে করলেন ৩১ দিন। কিন্তু বছর তো আর ৩৬৫ দিন থেকে বেড়ে ৩৬৬ দিন হতে পারে না। তাই রোমান পণ্ডিতরা ফেব্রুয়ারি মাসকে ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ২৯ দিন করতে বাধ্য হলেন।

সিজারের পর রোমের সম্রাট হন তারই ভাইয়ের ছেলে অগাস্টাস সিজার। আবার অপারেশন চালানো হলো ফেব্রুয়ারির ওপর। সেই থেকে ফেব্রুয়ারি ২৮ দিনে এসে দাঁড়ালো। অগাস্টাস সিজার এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, লিপইয়ার বছরে আগস্ট মাসটিকে ৩২ দিনে গোনা। রোমে এ ব্যবস্থা চালু ছিল অনেকদিন।

Tuesday, 19 September 2017

কামিজ কাটিং ভিডিও


আপনাকে মেকআপ ছাড়াই সুন্দর লাগবে


সাজগোজ টিপসঃ সুন্দর হতে হলে কি কেবল মেকআপেরই প্রয়োজন হয়? একদমই না। যদিও এমন ধারণা অনেকেরই মনে হতে পারে। তবে কিছু কৌশল পারে আপনাকে মেকাপ ছাড়াই সুন্দরী বানাতে। চলুন তা জেনে আসি মেকআপ ছাড়াই সুন্দর হবার উপায়।
হাইজেনিকঃ
আপনি কি মেকআপ ছাড়া সুন্দর দেখাতে চান? তাহলে গাদা গাদা ফাউন্ডেশন, পাউডারের পরিবর্তে গোসল করুন। দিনে ২ বার গোসল করার চেষ্টা করুন। গোসল প্রাকৃতিকভাবে আপনাকে একটি সুন্দর লুক দিবে।
দিনে দুইবার মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুনঃ
প্রতিদিন সকাল এবং রাতে দুই বার করে মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন। অদ্ভুত শোনালেও এটি সত্য। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত মুখ ধোয়ার ‘অভ্যাস’(Practice) করুন। এটি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয় অনেকখানি।
ময়েশ্চারাইজঃ
ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা খুব প্রয়োজন। মুখের সাথে হাত, ঘাড়, পায়েরও ময়েশ্চারাইজ করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ বয়সের ছাপ সবার আগে হাত পায়ে পরে থাকে। মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এছাড়া ত্বকের সাথে মানানসয়ী যেকোনো ময়েশ্চারাইজ ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

ফেস ওয়াশের ব্যবহারঃ
প্রতিদিন ত্বকের ময়লা পরিস্কার করার জন্য ফেস ওয়াশ ব্যবহার করুন। এমনকি ঘর থেকে বের না হলেও প্রতিদিন ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিস্কার করুন।
টোনার ব্যবহারঃ 
প্রতিদিন ত্বক পরিচর্যায় টোনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। টোনার ত্বকের অতিরিক্ত ‘তেল’(Oil) দূর করে ত্বককে টানটান করে থাকে। বাজারে টোনার কিনতে পাওয়া যায় আপনি চাইলে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপ জল খুব ভাল প্রাকৃতিক টোনার।
হেয়ার স্টাইলঃ
সব হেয়ার স্টাইল আপনার জন্য নয়। আপনাকে হয়তো লম্বা বেনীতে ভাল লাগছে কিন্তু আরেকজনকে চুল ছাড়া অবস্থায় বেশি মানিয়ে যায়। আপনাকে যে হেয়ার স্টাইলটি বেশি মানিয়ে থাকে সেটি করুন। তবে সব সময় একই রকমের হেয়ার স্টাইল করবেন না। এতে একঘেয়ামি চলে আসবে। মাঝে মাঝে চুলের স্টাইল পরিবর্তন করুন।
চলতি ফ্যাশনের দিকে লক্ষ্য রাখুনঃ
আপনার পোশাকের ওপর আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচির প্রকাশ পায়। চলতি ফ্যাশন অনুযায়ী পোশাক পরিধান করুন। অনুষ্ঠান অনুযায়ী পোশাক পরার চেষ্টা করুন। পোশাক আপনাকে অনেকখানি সুন্দর করে দিবে।
রং পছন্দ করাঃ
আপনাকে যে রং বেশি মানিয়ে যায়, সেই রং এর পোশাক পরিধান করুন। যদি কালো রং হয়, তবে কালো রং এর পোশাক পরিধান করুন। তবে হ্যাঁ সবসময় একই রঙের পোশাক পরিধান করবেন না। এতে আপনাকে দেখতে একঘেয়ে লাগবে।

জুতোর দিকে লক্ষ্য রাখুনঃ
সাজের একটই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল জুতো। কয়েক জোড়া জুতো রাখুন। ড্রেসের রং এবং অনুষ্ঠানের ধরণ অনুযায়ী জুতো ‘পরিবর্তন’(Change) করে পড়ুন। তবে হ্যাঁ আপনি যে ধরণের জুতোয় আরামদায়ক বোধ করবেন না, সেটি পরিধান করা থেকে বিরত থাকুন।
হাসিঃ
নিজেকে অন্য থেকে আকর্ষণীয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল হাসি। হাসি আপনাকে সবার থেকে আলাদা করে তুলবে। তাই হাসির মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করুন।

পার্ল ফেসিয়াল করার নিয়ম


পার্ল ফেসিয়াল বর্তমানে বহুল আলোচিত। সব মেয়ের মুখেই শোনা যায় এই পার্ল ফেসিয়ালের কথা। এই ফেসিয়াল এখন গোল্ড ফেসিয়াল বা ফ্রুট ফেসিয়ালের মতই জনপ্রিয়। পার্ল ফেসিয়াল করতে হলে সব সময় যে পার্লারে যেতে হবে তা নয়। ঘরে বসেই আপনি করতে পারেন এই পার্ল ফেসিয়াল আর আনতে পারেন আপনার চেহারায় এক অপরূপ লাবণ্য।
পার্ল ফেসিয়ালের কিছু উপকারীতাঃ
• এটি ত্বক করে তোলে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত
• বয়সের ছাপ দূর করে
• ত্বক করে তোলে কোমল ও স্নিগ্ধ
পার্ল ফেসিয়ালের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
• পার্ল ক্রিম
• পার্ল পাউডার
• ফ্রেশ ক্রিম
• ক্লিঞ্জার
• দুধ
• পানি / গোলাপজল
• তেল(শুষ্ক ত্বকের জন্য অলিভওয়েল ভালো)
• মধু
• ডিম
• লেবুররস
• টোনার
পদ্ধতিঃ
• পার্ল ফেসিয়াল করতে হলে প্রথমেই আপনাকে যেটা করতে হবে তাহল খুব ভালো ও উন্নতমানের পার্ল পাউডার ও পার্ল ক্রিম কেনা। এই দুটি প্রসাধনী আপনি মার্কেট থেকে কিনে নেবেন।
• এখন আপনার মুখমণ্ডল ক্লিঞ্জার দ্বারা ভালো মত পরিষ্কার করুন। আপনি একটি তুলা দুধের মধ্যে ডুবিয়ে তা দিয়ে মুখমণ্ডল পরিষ্কার করতে পারেন। বেসন ও দুধের মিশ্রণ-ও একটি ভালো ক্লিঞ্জার হিসেবে কাজ করে।
• এবার পার্ল পাউডারের একটি পেস্ট প্রস্তুত করুন। এর জন্য পার্ল পাউডার পানি অথবা গোলাপজলের সাথে মিশিয়ে নিন। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তবে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মেশান।
• এবার পেস্টটি আপনার মুখমণ্ডলে ৫ মিনিটের মত ম্যাসাজ করুন এবং আরো ৫ মিনিট মুখে রাখুন। এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
• এবার মুখ মুছে পার্ল ক্রিম লাগান। আলতো ভাবে লাগাবেন। খুব বেশি জোরে ঘষবেন না। এতে মুখ লাল হয়ে যেতে পারে। ক্রিম দিয়ে মুখ প্রায় ৫ মিনিট আলতো ভাবে ম্যাসাজ করুন।
• এপর্যায়ে মাস্ক প্রস্তুত করুন। যদি আপনি বয়সের ছাপ থেকে মুক্তি পেতে চান তবে ডিম ও মধু মেশান এবং তার সাথে লেবুর রস ও এক চামচ পার্ল পাউডার মেশান। এই মাস্ক টি ধীরে ধীরে মুখে লাগান। দাগ থেতে মুক্তি পেতে চাইলে ফ্রেশ ক্রিমের সাথে ১ চামচ পার্ল পাউডার মেশান। মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ফ্রেশ ক্রিম প্রস্তুত করা কোন কঠিন কাজ নয়। ফ্রেশ ক্রিম পেতে হলে দুধ জ্বাল দিন ঘনকরে এবং তার থেকে সর নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে প্রায় ১ দিন ফ্রিজে রাখলে আপনি ফ্রেশক্রিম পাবেন। তবে সর অল্প পরিমাণ হলে ১ দিন রাখার দরকার নেই। কয়েক ঘণ্টাতেই হয়ে যাবে। সবশেষে টোনার লাগিয়ে নিতে ভুলবেননা। জেনে নিলেন কিভাবে পার্ল ফেসিয়াল করতে হয়। তবে আর দেরী কেন? এখন-ই করুন ঘরে বসে পার্ল ফেসিয়াল আর আপনার ত্বকে নিয়ে আনুন মাধুর্য।
বিঃদ্রঃ যাদের সেনসিটিভ ত্বক তাদের জন্য এই ফেসিয়াল উপযোগী নয়।

ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখবেন




১। মাংস ১ -২ মাস
২।  পাউরুটি ২ – ৩ মাস
৩। মাংস ২ -৩ মাস (রান্না করা)
৪।  হাঁস-মুরগির মাংস ৪ মাস(রান্না করা)
৫। অন্যান্য খাবার ২ -৩ মাস(রান্না করা)
৬। ফল ৮ – ১২ মাস
৭। স্যুপ ২ -৩ মাস
৮। কাঁচা মুরগি (আংশিক) ৯ মাস
৯। কাঁচা মুরগি (আস্ত) ১ বছর
১০। শাকসবজি ৮ – ১২ মাস

যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে:
১। খাবার কেনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তা ফ্রিজে রাখুন। তাজা অবস্থায় ফ্রিজে রাখলে বেশিদিন খাদ্যমান ধরে রাখা যায়।
২। একসঙ্গে অনেক খাবার ফ্রিজে রাখতে হলে আগে রাখা কিছু খাবার ফ্রিজ থেকে সরিয়ে ফেলুন।
৩।কৌটার খাবার ও খোসাসহ ডিম ফ্রিজে না রাখাই ভালো। কৌটা বা ডিমের খোসা ফেটে গেলে এর ভেতর ব্যাক্টেরিয়া ঢুকে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
৪। গরম খাবার ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখলে এর খাদ্যমান বজায় থাকে।
৫। মোড়কজাত মাংস দীর্ঘ সময় ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন হলে বাড়তি প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে তা আরও ভালোভাবে মুড়িয়ে নিন।
৬। খাবারটি কতদিন সংরক্ষণ করতে হবে তা খাবারের প্যাকেটের গায়ে লিখে রাখলে এ বিষয়টি মনে রাখা সহজ হবে।
কীভাবে তাজা খাবার সংরক্ষণ করবেন:
৭। তাজা ফল সংরক্ষণের আগে তা ভালো করে ধুয়ে, শুকিয়ে ছোট ছোট করে কেটে ব্যাগে সংরক্ষণ করা উচিত। অনেকে এর স্বাদ, গন্ধ ধরে রাখার জন্য চিনি বা সিরাপ দিয়েও সংরক্ষণ করে থাকেন।
৮। স্বাদ, গন্ধ ও রঙ ধরে রাখার জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণের আগে শাকসবজি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিন। এরপর বক্সে ভরে ফ্রিজে রাখুন।

৯। প্রতিটি খাবার খুব ভালো ভাবে এয়ারটাইট করে রাখুন। এতে খাবারের গুণাগুণ দীর্ঘ দিন ভালো থাকবে।

ঘরোয়া প্যাক -ত্বকের রঙ ফর্সা উজ্জ্বল করুন


প্রতিটি নারী চান নিখুঁত, কোমল, উজ্জ্বল ত্বক। কিন্তু ধুলা বালি, রোদ, ময়লা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ত্বকের প্রতিনিয়ত ক্ষতি হচ্ছে। এইসব কারণে আমাদের ত্বক কালো হয়ে যাচ্ছে। আর গায়ের রং ফর্সা করার জন্য আমাদের তখন সরণাপন্ন হতে হয় বাজারের রং ফর্সাকারী ক্রিমের ওপর। কিন্তু বাজারের ক্রিম নানাবিধ রাসায়নিক পণ্য দিয়ে তৈরি বিধায় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। রং ফর্সা করার ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যা দ্বারা ত্বকের রং হালকা করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। এই উপায়গুলো দ্বারা রাতারাতি ফর্সা হওয়া সম্ভব না হলেও রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বককে স্বাস্থ্যজ্বল করে তুলবে।
১। টক দই এবং মধুর প্যাক

১ টেবিল চামচ টক দই এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখ ও ঘাড়ে ভাল করে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক হয় তবে এতে ২ চা চামচ মধু দিতে পারেন। আর যদি তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী হন তবে কয়েক ফোঁটা লেবু যগ করে দিবেন।

২। বেসনের প্যাক

২ চা চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো এবং দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। তৈলাক্ত ত্বকে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখ ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে স্ক্রাবিং করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক ফর্সা করে তোলবে।
৩। গুঁড়ো দুধ এবং মধু ফেইস প্যাক

১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১/২ চা চামচ বাদাম তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখু, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বাদাম তেলের পরিবর্তে মুলতানি মাটি যোগ করে নিতে পারেন।
৪। গাজর প্যাক

১ বা ২টি গাজরের পেস্ট, ১/২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। সম্ভব হলে গাজর এবং মধু এক সাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে ভাল করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। গাজরে আছে বিটা ক্যারটিন, ভিটামিন সি, কে এবং এ যা ত্বকে পুষ্টি যোগিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

৫। শসা এবং লেবুর রস
১ টেবিল চামচ শসার রস, ১ চা চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। মুখ ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা ১ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে নিতে পারেন। এই প্যাকটি প্রতিদিনও ব্যবহার করতে পারেন।
এই প্যাকগুলো ত্বকের রোদে পোড়া দাগ, কালচে দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

যে কাজগুলো করবেন না ?ফেসিয়ালের পর


রূপচর্চার একটি অপরিহার্য উপায় হচ্ছে ফেসিয়াল। ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ফেসিয়াল এক অনন্য পদ্ধতি। তবে অনেক সময় ফেসিয়াল করার পর ত্বক নাজুক হয়ে পড়তে পারে। তাই কিছু কাজ আছে যা ফেসিয়ালের পরে না করাই ভালো। জেনে নিন ফেসিয়াল করার পর কী নিয়ম মেনে চললে ত্বকের ক্ষতি হবে না। ত্বক থাকবে সতেজ, প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল।
ত্বক যদি পাতলা ও গায়ের রং ফর্সা হয়, তাহলে ফেসিয়ালের পর পরই ম্যাসাজ করলে ত্বকে অনেক সময় লালচে মতো দাগ পড়ার আশঙ্কা থাকে। ফেসিয়াল করার তিন দিনের মধ্যে কোনো ধরনের ম্যাসাজ করবেন না।
সবজি বা ফলের খোসা (কমলালেবু) দিয়ে বানানো মাস্ক লাগাবেন না। অধিকাংশ খোসাতে থাকে আলফা হাইড্রক্সি এসিড, সঙ্গে ভিটামিন-এ, এই উপাদানগুলো ত্বকে লালচে ভাব আনে। তাই ফেসিয়াল করার পর দু-তিন দিন মাস্ক লাগাবেন না।
অনেকেই স্টিম বাথ নেন; কিন্তু ফেসিয়াল করার পর পরই স্টিম বাথ করা যাবে না। কেননা ত্বকের উজ্জ্বলতা আনার জন্য অনেক ফেসিয়ালেই স্টিম ব্যবহার করা হয়। তাই আবার স্টিম বাথ নিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যেতে পারে।
ফেসিয়াল করার সময় যদি ব্লিচ ক্রিম ব্যবহার করা হয়, তবে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সাবান বা ফেসওয়াশ মুখে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ ব্লিচ ক্রিমের সঙ্গে সাবান বা ফেসওয়াশ মিশে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া ব্লিচ ক্রিম মুখের লোমের রং পরিবর্তন করে; তাই সাবান ব্যবহার করলে রংটা লোমে বসবে না।
ফেসিয়ালের পর ত্বক নাজুক থাকে, তাই সূর্যের তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করা জরুরি। ফেসিয়াল করার সময় ব্যবহৃত স্ক্রাবারের মধ্যে দানা থাকে, যার ফলে ত্বকে এক ধরনের অরক্ষিত পর্দার সৃষ্টি হয়। এই পর্দা সূর্যের তাপে সহজে পুড়ে যায়।
ফেসিয়াল করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো। মেকআপের কারণে চুলকানি বা প্রদাহ দেখা দিতে পারে। যেসব প্রসাধনীতে কৃত্রিম রং বা সুগন্ধি দেওয়া থাকে সেগুলো ফেসিয়ালের পর একদমই ব্যবহার করা উচিত নয়।
ফেসিয়ালের পর ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল থাকে। তাই যখনই মুখে হাত দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে, হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।
অনেকের ত্বকে ফেসিয়াল করার পর পরই ব্রণ দেখা দেয়। এ সময় ত্বক অনেক সতেজ থাকে। ফলে ব্রণ খুঁটলে দাগ বসে যায়। যদি ব্রণ উঠেই যায়, তাহলে খুঁটবেন না, দ্রুত সেরে যাবে।

ধাপে ঘরে বসে করে নিন হেয়ার স্পা


বিভিন্ন পার্লারে হেয়ার স্পা করার সুব্যবস্থা আছে । কিন্তু সেটা অনেকের জন্য বেশ এক্সপেনসিভ , আবার অনেকের পার্লারে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময়ও হাতে থাকে না। খুব সহজে একটু সময় বের করলে অনেক অল্প খরচে আমরা সহজেই বাসায় বসে হেয়ার স্পা করতে পারি। চলুন তাহলে ঘরে বসে হেয়ার স্পা করার স্টেপগুলো দেখে নেয়া যাক।

স্টেপ ১ : অয়েলিং
৪ চা চামচ কোকোনাট অয়েল, ২ চা চামচ অলিভ অয়েল, ২ চা চামচ আমন্ড অয়েল, ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল ভালো করে মিশিয়ে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ৩০ সেকেন্ড গরম করে, অথবা স্টিলের বাটিতে ঢেলে চুলার উপরে ১৫ সেকেন্ড ধরে রেখে নামিয়ে নিন এবং এতে ২টা ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিন। এবার পুরো মাথার চুলকে কয়েক ভাগে ভাগ করে আস্তে আস্তে পুরো মাথার স্কাল্পে তেলটা লাগিয়ে নিন। সবশেষে পুরো চুলে ও আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। আস্তে আস্তে মাথার স্কাল্পটা ম্যাসাজ করতে থাকুন। এতে করে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন হবে ভালোভাবে এবং স্কাল্পে তেলটা ভালো করে অ্যাবসর্ব হবে। এ অবস্থায় কমপক্ষে এক ঘণ্টা তেলটা মাথায় রাখুন।
স্টেপ ২ : স্টিমিং
হাতে যেকোন প্লাস্টিকের গ্লাভস পরে নিন। একটি বালতিতে গরম পানি ঢেলে তাতে একটি টাওয়েল ভিজিয়ে গ্লাভস পরা হাতে তুলে নিঙরে নিন এবং ঐ টাওয়েলটি দিয়ে পুরো মাথা এবং সব চুল ভালো করে পেঁচিয়ে নিন। এবার মিনিট দশেক অপেক্ষা করুন।
স্টেপ ৩ : শ্যাম্পুইং

এবার টাওয়েলটি খুলে চুল ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
স্টেপ ৪ : কন্ডিশনিং
এবার কন্ডিশনার ব্যবহারের পালা। চুলের গোড়া বাদে পুরো চুলে ভালোভাবে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পুরো মাথা ধুয়ে নিন। এবং পুরোনো কোন টিশার্ট দিয়ে চেপে চেপে চুলের বাড়তি পানি ঝরিয়ে নিন।
স্টেপ ৫ : হেয়ার মাস্ক ব্যবহার
১টা ডিম, ১টা মাঝারি সাইজের পাকা কলা, ৩ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ টেবিল চামচ টকদই, ২ চা চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অর্গানিক কোকোনাট অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে পুরো মাথার চুলে আগাগোড়া লাগিয়ে নিন। এবং শাওয়ার ক্যাপ পরে কমপক্ষে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার আবার ও মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এবং শেষে এক মগ পানিতে ৪ চা চামচ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে পুরোনো কোন টি শার্ট দিয়ে চুল মুছে ফ্যানের ঠাণ্ডা বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে স্কিন ক্যাফে ব্র‍্যান্ডের অর্গানিক এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, সুইট আমন্ড অয়েল, অর্গানিক ক্যাস্টর অয়েল, অ্যালোভেরা ৯৮% জেলটা ব্যবহার করি। আর শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারের মধ্যে আমার পছন্দের হলো ট্রেসেমি কেরোটিন স্মুদ শ্যাম্পু অ্যান্ড কন্ডিশনার, দ্যা বডি শপ বানানা শ্যাম্পু অ্যান্ড কন্ডিশনার, OGX ব্রাজিলিয়ান কেরোটিন স্মুদ শ্যাম্পু, OGX কোকোনাট ওয়াটার শ্যাম্পু অ্যান্ড কন্ডিশনার। এ সবগুলো অরিজনাল প্রোডাক্ট দেশের বেশ কিছু বড় বড় কসমেটিক্সের দোকান, ফার্মেসিসহ যমুনা ফিউচার পার্ক এবং সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত Sapphire এ ও পেয়ে যাবেন। আর ডিম, কলা, টকদই, ভিটামিন ই ক্যাপসুল তো কমবেশি আমাদের সবার বাসাতেই থাকে।

ব্যস, দেখলেন তো, কত সহজে বাসায় বসেই অল্প খরচে এবং অল্প সময়ে হেয়ার স্পা করে নেয়া যায়? সপ্তাহে একদিন অন্ততপক্ষে নিজের জন্য সময় বের করে হেয়ার স্পা করে ফেলুন এবং চুলের অ্যাপিয়ারেন্সে পার্থক্যটা নিজের চোখেই দেখুন। নিয়মিত হেয়ার স্পা করলে চুল পড়া কমবে, চুলের নিষ্প্রাণতা দূর হবে, চুল হবে প্রাণবন্ত এবং ঝলমলে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

নাইট ক্রিম ঘরোয়া পদ্ধতি


নাইট ক্রিম হলো রাতে ব্যবহারের ক্রিম। আমাদের মুখের ত্বকেরও কিছু চাহিদা থাকে যা আমরা পূরণ করতে পারি নাইট ক্রিমের মাধ্যমে। একমাত্র ঘুমের সময় আমাদের শরীর, ত্বক অনেক বেশি রিলাক্স থাকে তাই রাতে ক্রিম খুব ভালো কাজ দেয়। রাতের জন্য তৈরি নাইট ক্রিম গুলোতে আলাদা কিছু উপাদান থাকে, যা সারা রাত ত্বককে পুষ্টি যোগায়। আর সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বলে কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।


তবে যাদের ব্রণ আছে তাদের নাইট ক্রিম ব্যবহার না করাই ভাল। চলুন জেনে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তিনটি নাইট ক্রিম বানানোর নিয়মাবলী:

হোয়াইট / গ্রিন টি নাইট ক্রিম

হোয়াইট ও গ্রিন টি দুটাই প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা ত্বকের অকালবার্ধক্যের বিরুদ্ধে কার্যকর। ত্বকের ক্যান্সার রোধে, কোষ পুনর্নবীকরণেও সাহায্য করে। ফুসকুড়ি এবং ব্রণ ওঠার ক্ষেত্রে, ক্যাটচিনস নামক যৌগ, ব্যাকটেরিয়া বিরোধী উপাদান হিসাবে কাজ করে।

নাইট ক্রিম তৈরি করবেন যেভাবে

২৫ আউন্স বিশুদ্ধ মোম নিয়ে এর সাথে ১ আউন্স কাঠবাদাম তেল, ১ আউন্স নারকেল তেল, ১ চা চামচ গোলাপের বীজ তেল মেশান এবং ডাবল বয়লারে দিয়ে গলতে দিন।
এদিকে কয়েক মিনিটের জন্য সবুজ / সাদা চায়ের ১ প্যাকেট ১ চাপ গরম পানিতে দিন। এবার ডবল বয়লারে দেয়া মিশ্রণটিতে পানিটা ছেঁকে দিন যদি পাতা ব্যবহার করে থাকেন।
মোম গলে গেলে ঠান্ডা হতে এক বা দুই মিনিট অপেক্ষা করুন। একটি চালনীতে চেলে নিন।
একটি হ্যান্ড ব্লেন্ডার ব্যবহার করে মিশ্রণটি ফেটাতে থাকুন যতক্ষণ না একটি মসৃণ ঘনত্বে পরিণত না হয়।
মুখ ধুয়ে হালকা মুছে নিন এবং ক্রিমটি বৃত্তাকারে লাগান ত্বক শুষে না নেয়া পর্যন্ত। সকালে ঠান্ডা পানি এবং মৃদু ক্লিজার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কড়া রাসায়নিক আছে এমন ক্লিনজার ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন না। একটি ঠান্ডা, অন্ধকার জায়গায় রাখুন। ফ্রিজে রাখবেন না। তেলের কারণে ক্রিমটি দীর্ঘদিন রেখে দেওয়া যাবে। এক মাসের বেশী ব্যবহার করা যাবে দৈনিক ব্যবহার করেও।

অলিভ অয়েল নাইট ক্রিম

অলিভ অয়েল ত্বকের রং উ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এটি একটি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে, চর্বি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের কারণে ত্বকের বার্ধক্য বিলম্বিত হয় ।
একটি ছোট সসপ্যানে অলিভ অয়েল ১/৪ কাপ, ১ কাপ নারকেল তেল এবং ১ চা চামচ মোম একসাথে মেশান । একটি ডবল বয়লারে কম তাপে মিশ্রণ গলা শুরু না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন । মিশ্রণটি নামিয়ে ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মিশ্রণের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দুয়েক থেকে তেল যোগ করতে পারেন। এছাড়াও আপনার প্রিয় কোন এ্যাসেন্সিয়াল অয়েল যেমন ল্যাভেন্ডার, লেমন, টি ট্রী অয়েল কয়েক ফোঁটা যোগ করতে পারেন ।
শুকনো জায়গায়, একটি কন্টেইনারে স্টোর করুন। আর্দ্র জায়গায় রেখে না দিলে ক্রিমটি শক্ত হয়ে যাবে। ক্রিম লাগাবার আগে মুখ ধুয়ে হালকাভাবে মুছে শুকিয়ে নিন। ক্রিমটি মুখে বৃত্তাকার ম্যাসাজ করুন। মৃদু ক্লিনজার দিয়ে পরের দিন সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

সতর্কতা- যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের এই ক্রিমে ব্রেকআউটস হতে পারে। কয়েক দিনের জন্য এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন আপনার ত্বকে মানিয়ে যাচ্ছে কিনা। এটি সাধারণত শুষ্ক ত্বকের ব্যক্তিদের জন্য খুব ভাল কাজ করে।

আপেল নাইট ক্রিম

আপেলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, বিটা ক্যারোটিন, ম্যালিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ যা উজ্বল এবং তারুণ্যপূর্ণ ত্বকের জন্য অপরিহার্য। আর গোলাপজল ত্বককে প্রশমিত করে, পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে, ক্ষত সারায় , টিস্যু পুনর্জীবিত করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ গোলাপজলের গন্ধও অসাধারণ।
একটি আপেলকে দুভাগ করে কেটে , বিচী ফেলে ছোট কিউব করে কাটুন।
কিউবগুলোর সঙ্গে জলপাই তেল বা রোজ তেল বা বাদাম তেল ২ চা চামচ দিয়ে ব্লেন্ড করে মসৃণ পেস্ট বানান।
একটি ডবল বয়লারে মিশ্রণটি গরম না হওয়া পর্যন্ত মেশান। বয়লার থেকে মিশ্রণটি নামান এবং ঠান্ডা হতে দিন।
মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে এতে ২ চা চামচ গোলাপজল যোগ করুন।
যদি ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে এতে মধু, দারুচিনি, জায়ফল বা হলুদ যোগ করতে পারেন। এই সব উপাদান ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে।
সম্ভব হলে সবুজ আপেল ব্যবহার করুন ।
একটি কন্টেইনারে স্টোর করে ফ্রিজে রাখুন। দৈনিক ব্যবহারে মিশ্রণটি এক সপ্তাহের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
মুখ ধুয়ে চেপে শুকিয়ে নিয়ে ক্রিমটি লাগান। ক্রিম লাগিয়ে সাথে সাথে বিছানায় শুতে যাবেন না। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন, শুকোতে দিন। পরের দিন সকালে মৃদু ক্লিনজার ও ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধোবেন।

গোল্ড আর সিলভার ফেসিয়াল

একটি বয়সের পর নিয়মিত ফেসিয়াল করাটা জরুরী। কিন্তু সময়ের অভাবে বা অতিরিক্ত খরচের কথা ভেবে পার্লারে যাওয়া হয় না। কিন্তু এই তাল বাহানায় ত্বকের তো বারোটা বেজে যায়। তাই আপনাদের সুবিধার্থে, আপনাদের সুবিধা মত সময়ে স্বল্প খরচে ত্বকের যত্নে গোল্ড আর সিলভার ফেসিয়াল করার উপায় বলে দিচ্ছি। এই ২টি ফেসিয়াল কিটের জন্য ভালো ব্র্যান্ড হলো শেহনাজ হুসাইন, ন্যাচারস, বায়ো ফ্রেশ, ভিএলসিসি। জোভসটাও ভালো কিন্তু ঐটা পাওয়া একটু কষ্টসাধ্য। এই সবগুলোই পেয়ে যাবেন ৬০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। ব্র্যান্ড অনুযায়ী দামের ভিন্নতা রয়েছে।
ফেসিয়াল ২ টি ৩৫+ হলে করা ভালো তবে আপনার ত্বক যদি একান্তই আপনার অবাধ্য হয়ে যায় তাহলে আগেই করতে পারেন, তবে ২৮ এর আগে করবেন না। রুক্ষ বা শুষ্ক ত্বক হলে গোল্ড ফেসিয়াল আপনারই জন্য। নরমাল অথবা তৈলাক্ত ত্বক হলে আপনি করবেন সিলভার ফেসিয়াল। সবার ত্বকের ধরন এক না। কারোটা তৈলাক্ত আবার কারোটা স্বাভাবিক। বুঝতে পারছেন না আপনার ত্বকের ধরন কোনটি? চিন্তার কোন কারণ নেই। আমি বলে দিচ্ছি কীভাবে যাচাই করবেন আপনার ত্বকের ধরন।
রাতে মুখে কিছু লাগাবেন না। সকালে উঠে মুখ না ধুয়ে হাতে কিছু টিস্যু পেপার নিয়ে সোজা আয়নার সামনে চলে যান। এবার টিস্যু পেপার মুখে চেপে ধরুন যদি পেপার শুষ্ক থাকে তাহলে বুঝবেন আপনি শুষ্ক ত্বকের অধিকারী। যদি তেল তেলে হয় তবে তৈলাক্ত। স্বাভাবিক ত্বক হলে পেপার শুকনো থাকবে কিন্তু আপনি নিজেই এক ধরনের মসৃণ ভাব অনুভব করবেন। টিস্যু পেপারে যদি কিছু জায়গায় তেল, কিছু জায়গায় শুষ্ক থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার ত্বক মিশ্র। এবার আসুন জানা যাক বাসায় কীভাবে করবেন ফেসিয়াল গুলো।
 গোল্ড ফেসিয়ালঃ
এই ফেসিয়ালে ২৪ ক্যারাট সোনা যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা হয় যা সহজেই ত্বক ভেদ করতে পারে। ত্বকের পুরনো লাবণ্য, উজ্জ্ব্বলতা ফিরিয়ে আনতে গোল্ড ফেসিয়ালের জুড়ি নেই। ত্বকে লুকিয়ে থাকা ধূলো ময়লা, বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনার ক্ষমতা সোনার অসীম। নতুন কোষ জন্মানোর জন্য সোনার অবদান অনেক। ৩৫ এর উপরে বয়স হলে এই ফেসিয়াল করলে যৌবনের সেই নরম তুলতুলে ত্বক ফিরে । এবার জেনে নিন কিভাবে ঘরে বসেই করবেন এই ফেসিয়াল।
gold


একটি গোল্ড ফেসিয়াল কিটে থাকে গোল্ড ক্লিনজার, গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব, গোল্ড ফেসিয়াল ক্রিম বা জেল, গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক।
– প্রথমে গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি গোল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করুন তারপর গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব দিয়ে মুখের সব মরা কোষ দূর করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে স্ক্রাব করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
-এবার গোল্ড ক্রিম দিয়ে মুখ ম্যাসাজের পালা। এতে আছে গোল্ড ফয়েল, গোল্ড পাউডার, মধু, স্যাফ্রন, এলোভেরা আর চন্দন। যা আপনার ত্বকে বুলিয়ে দেবে কোমল পরশের ছোঁয়া। হালকা হাতে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
-এবার ধীরে ধীরে গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করুন মাস্ক শুকানো পর্যন্ত। তারপর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে মাস্ক তুলে ফেলুন। মাস্কে বিদ্যমান হলুদ, গোল্ড ফয়েল, আর এলোভেরা আপনার ত্বকে এনে দেবে সোনালি আভা। এই ফেসিয়াল করার পর ৩০% পর্যন্ত পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
সিলভার ফেসিয়ালঃ
silver

চেহারায় তাৎক্ষণিক জৌলুস আনতে সিলভার ফেসিয়ালের সমকক্ষ আর কোন ফেসিয়াল নেই। এই ফেসিয়াল শুধু ph ভারসাম্য বজায় রাখে না সেই সঙ্গে ব্ল্যাহেডস দূর করে। আসুন দেখি সিলভার ফেসিয়াল কিট দিয়ে কীভাবে বাসায় সিলভার ফেসিয়াল করবেন।
-প্রথমে সিলভার আ্যাশ আর কমলার তেল সমৃদ্ধ সিলভার ক্লিনজার দিয়ে মুখের সব ধূলো-ময়লা পরিষ্কার করবেন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ৫-১০ মিনিট ধরে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে সিলভার স্ক্রাব লাগাবেন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলবেন। সিল্ভার আ্যাশ আর ওয়ালনাট সমৃদ্ধ স্ক্রাব ব্ল্যাকহেডসকে নরম করে আর মৃত কোষ দূর করে।
-এবার ১০-১৫ মিনিট ধরে সিলভার আ্যাশ আর অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি ম্যাসাজ ক্রিম দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করুন। এই ক্রিম গায়ের রঙ উজ্জ্বল, মসৃণ করে তোলে।
-সিলভার জেল আয়ুরবেদিক ফর্মুলায় তৈরি। এই জেল সানটানের প্রভাব কিছুটা কমিয়ে আনে। সিলভার ম্যাসাজ ক্রিমের পর সিলভার জেল দিয়ে ৪-৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
-এবার সিলভার প্যাক লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন আপনাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার জন্য। এতে আছে সিলভার আ্যাশ আর কাওলিন যা ত্বককে সুগঠিত করে, চেহারায় আনে অন্যরকম উজ্জ্বলতা।
তাহলে আর অপেক্ষা কেন? সিলভার আর গোল্ড ফেসিয়ালের মাধ্যমে পুরনো সব জীর্ণ মলিনতা ভুলে এবার নিজেকে মেলে ধরুন নতুন আঙ্গিকে।

ডায়মন্ড ফেসিয়ালের সুবিধাসমূহ


এই ফেসিয়াল আনইভেন স্কিন টোনের উন্নতি করে আর বয়সের ছাপ লুকাতে সাহায্য করে। রোদে পোড়া কালো ছোপ, ব্রণের দাগ, রুক্ষ শুষ্ক ত্বক এগুলোর চিকিৎসায় ডায়মন্ড ফেসিয়ালের সমকক্ষ আর কিছুই নেই। এছাড়াও আরও কিছু উপকার করে তা হলোঃ
– ত্বকের ডিপ ক্লিন করে।
– ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে।
– রিঙ্কেল কমিয়ে আনে।
– ব্লাড ফ্লো বাড়িয়ে দেয়।
আসুন জানা যাক বাসায় কিভাবে করবেন এই ফেসিয়াল। যেহেতু আপনার ত্বক সংবেদনশীল তাই টাকা একটু বেশি লাগলেও চেষ্টা করবেন শেহনাজ হুসাইন, ন্যাচারস বা ভিএলসিসি এর মত ভালো মানের ডায়মন্ড ফেসিয়াল কিট কিনতে। সামর্থ্য থাকলে আরও দামী ব্র্যান্ড কিনতে পারেন। তবে কেনার সময় দেখে নিবেন কিটটিতে ডায়মন্ড স্ক্রাব, ডায়মন্ড ডিটক্স লোশন, ডায়মন্ড ম্যাসাজিং জেল, ডায়মন্ড ফেস মাস্ক আছে কিনা।
df01

– প্রথমে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর ডায়মন্ড স্ক্রাব দিয়ে ৫-৭ মিনিট ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে পুরো মুখ স্ক্রাব করুন। তারপর ভেজা কটন দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। ডায়মন্ড স্ক্রাবে আছে ডায়মন্ড আ্যাশ আর আছে এসেনসিয়াল অয়েল, ভেজিটেবল আর ফুলের এক্সট্রাকট। যা ত্বকের গভীরে পৌঁছে ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় আর সব মৃত কোষ দূর করে।
df02



-এবার ডায়মন্ড ডিটক্স লোশন লাগাবার পালা। স্ক্রাবারের পর এটা দেয়া হয় কারণ পোরগুলো তখন ওপেন থাকে তাই লোশনটি দ্রুত শোষণ করে আর ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এ লোশন ত্বককে রিফ্রেশ, রিজুভিনেট আর ডিটক্সিফাই করে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি খুবই হালকা একটি ক্রিম যা ত্বকের উপর প্রটেকটিভ ফিল্ম তৈরি করে। হালকা হাতে ম্যাসাজ করে লোশন গলায় এবং মুখে লাগান।
df03



– এরপর লাগান ডায়মন্ড ম্যাসাজিং জেল। এই জেল স্কিন টাইট করে, বলিরেখা দূর করে।পুরো মুখে ও গলায় হালকা হাতে জেল লাগান তারপর ম্যাসাজ করুন ৫-১০ মিনিট। এরপর ভেজা কটন দিয়ে মুখ ক্লিন করে ডায়মন্ড ফেস মাস্ক লাগান। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে তুলে ফেলুন। এই মাস্কে আছে হাইড্রোলাইসড সয়া প্রোটিন, ডায়মন্ড বাসমা যা ত্বকের গভীর থেকে ময়লা তুলে আনে আর ত্বক হয়ে ওঠে দীপ্তিময়।
df04


এবার ফেসিয়ালটি শেষ করুন ১ মিলি ডায়মন্ড লোশন মুখে এবং গলায় লাগিয়ে।
কিছু সতর্কতাঃ
-ডায়মন্ড ফেসিয়াল করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখে কোন রকম কস্মেটিক্স লাগাবেন না।
-আপনি ডায়মন্ড ফেসিয়াল করার আগে ব্লিচ করতে পারেন।
-সূর্যের তাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
-বরফ দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন।