লাকসাম মিডিয়া গ্যালারী

#htmlcaption1 লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected

Monday, 22 May 2017

রাজহাঁস পালন ও তার পরিচর্যা

রাজহাঁসের সেবামূলক কাজ 
কবি বলেছেন- ''কোথায় জলে মরাল চলে। মরালী তার পাছে রে-" রাজহাঁস শুধু শোভাবর্ধন করে না। বাড়ি-ঘর পাহারা দেয়, চোর তাড়ায়। ঘাস কাটার মেশিনের বদলে রাজহাঁস পুষুন, ঘাস সমান করে খেয়ে নেবে। 
পোকা-মাকড় খেয়ে জায়গা-জমি ঝকঝকে, তকতকে করে রেখে দেবে।রাজহাঁসের মাংস খাওয়া হয়। ওর পলক দিয়ে লেপ-তোষক, বালিশ তৈরি হয়।ডিম? বছরে খুব কম ডিম দেয়। এই কারণে রাজহাঁস পালনকারী তার ডিম না খেয়ে সেটা থেকে বাচ্চা পয়দা করতেই বেশি উৎসাহী হয়ে থাকেন। 

রাজহাঁসের প্রজাতি 
রাজহাঁসের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। তার মধ্যে নিম্ন লিখিত প্রজাতিগুলো সাধারণত দেখা যায়। 
(১) টুলুজ- ভারি প্রজাতির পাখি। ফরাসী দেশের পাখি। ভারি পাখিদের মধ্যে এরাই বেশি ডিম দেয়।তবে সব টুলুজ পাখি ডিমে তা দেয় না। ঠোঁট , পা কমলা রঙের। গলা, পেট এবং লেজ সাদা। পুরুষের ওজন- ১৪ কেজি, স্ত্রী- ৯ কেজি। 
(২) এমডেনঃ জামর্নির হ্যানোভারে এই পাখি বেশি দেখতে পাওয়া যায়। ভারি জাতের পাখি। ডিমের সংখ্যা ভালো। অন্য প্রজাতির রাজহাঁস থেকে বেশ ঠান্ডা। ঠোঁট জ্বলজ্বলে কমলা রঙের। পায়ে ধবধবে সাদা পালকে ভরা। পুরুষের ওজন ১৪ কেজি, স্ত্রী ৯ কেজি। 
(৩) চিনাঃ চিনদেশের রাজহাঁস। টুলুজ এবং এমডেন ছাড়া আকারে ছোট। সংখ্যায় বেশি ডিম দেয়। বছরে ৬০ টির মত। ডিমে তা দিতে অভ্যস্ত। দুটি রংয়ের চিনা রাজহাঁস দেখা যায়। খয়েরি এবং সাদা।খয়েরি রঙা চিনা রাজহাঁসের পা কমলা। ঠোঁট, পালকের রঙও খয়েরি। সাদা রঙের রাজহাঁসের ঠোঁট এবং পা উজ্জ্বল কমলা রঙের। গায়ের পালক ধবধবে সাদা। 
ওপরের ঠোঁটের গোড়ার চামড়া ফুলের মতো গোল হয়ে থাকে। পুরুষের ওজন ৯ কেজি, নারীর ওজন ৮ কেজি। পাহারাদার হিসেবে চিনা রাজহাঁসের সুখ্যাতি আছে। 
এছাড়া আরো কিছু প্রজাতির রাজহাঁস আছে। যেমন আফ্রিকান। অনুমান করা হয় এরা আদিতে ভারতীয়। কেউ বা বলেন চিনা এবং টুলুজের মধ্যে প্রজননের ফলে এদের সৃষ্টি হয়েছিল। 

রাজহাঁসের বাসস্থান 
রাজহাসের ঘর খোলা-মেলা, বায়ু চলাচলযুক্ত কিন্তু রোদ - বৃষ্টিতে ওদের কষ্ট দেবে না। মেঝে নানা ধরনের হতে পারে- পাকা, শক্ত অথচ কাঁচা ; মোটা তারের জালের এবং বিছানাযুক্ত (লিটার)। পুরুস্তরের বিছানা (ডিপ লিটার) হলে গভীরতা হবে ১৫ সে. মি. বা ৬ ইঞ্চি। বিছানা সবসময় শুকণো থাকা চাই। 
ঘরের রক্ষণব্যবস্থা ভালো হওয়া চাই। অর্থাৎ যাতে চোর না ঢোকে। শেয়াল বা অন্য কোন বন্যপ্রানী এদের ক্ষতি না করে। 
ঘরের সামনে বা পিছনে কিছুটা জায়গা তারের জাল দিয়ে ঘিরে দিলে ভাল হয়। এই জায়গাটা ওদের বিচরনের (জঁহ)কাজে আসবে। এই ধরনের জায়গা হাঁস পিছু ৪ বর্গ মিটার দিতে হবে। 
রাজহাঁসের ঘরের মধ্যে এবং বাইরে তিনটি হাঁস পিছু একটি করে ডিম পাড়ার বাক্স দিতে হবে। বাক্সে মাপ হবে ৫০ বর্গ সেঃ মিঃ। পানি ও খাবার জন্য আলাদা পাত্র দিতে হবে। 
রাজহাঁসের প্রজনন করাতে চাইলে পদ্ধতিগতভাবে এগুতে হবে। যেমন- ভারি জাতের ৩/৪ টি মাদি হাঁস পিছু একটি মর্দা হাঁস রাখতে হবে। চিনে হাঁসের ৪/৫টি মাদির পিছু একটি মর্দ হাঁস রাখতে হবে। 
রাজহাঁসদের এক বছর বয়স না হলে প্রজনন কাজে ব্যবহার না করাই ভাল।সবচেয়ে ভাল হয় যদি ওদের দু'বছর বয়সে প্রজনন কাজে লাগানো যায়। 
মার্দি হাঁস ১৫ বছর পর্যন্ত প্রজননক্ষম থাকে কিন্তু মর্দা সাত বছরে প্রজননে কিছুটা বা অক্ষম হয়ে পড়ে। 

ডিম ও ডিম ফোটানো 
সাধারনত এরা বসন্ত কালে ডিম দিতে শুরু করে। চিনে রাজহাঁস শুরু করে শীতকালে। এরা সকালের দিকেই ডিম দেয়। প্রথম বছরের তুলনায় এরা দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছরে বেশি ডিম দিয়ে থাকে ২য় এবং তয় বছরের ডিম আকারে ও বেশ বড় হয়ে থাকে।শঙ্কর জাতীয় রাজহাঁস অর্থাৎ অক্সিকান রাজহাঁস বা চিনে এবং টুলুজ বা এমডেনের যৌন সঙ্গমে তৈরি সঙ্কর রাজহাঁস এমডেন বা টুলুজ চিনে রাজহাঁসদের চেয়ে বেশি ডিম দেবে। 

ডিমে তা দেওয়া 
রাজহাঁস নিজের ডিম ফুটিয়ে থাকে। এবং যখন ডিমে তা দেয় তখন ডিম পাড়া বন্ধ রাখে। সুবিধা থাকলে আপনি টার্কি মুরগি, বা মস্কোডি হাঁস দিয়ে রাজহাঁসের ডিম ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে পারেন। 
টাটকা ডিম ( খুব জোর সাত দিনের পুরানো), পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, কোন ফাটাফুটো নেই এবং প্রতিটি ডিমের ১৪০ - ২০০ গ্রাম ওজন হলে সেটা তা দেবার উপযুক্ত বলে ধরা যেতে পারে। 
অনেক জায়গায় মুরগি দিয়েও রাজহাঁসের ডিম ফোটানো হয়ে থাকে। যদি মুরগি দিয়ে রাজহাঁসের ডিম ফোটাতে হয় তবে মুরগি প্রতি ৪/৬ টি ডিম এবং রাজহাঁস দিয়ে বসালে রাজহাঁস পিছু ১০-১৫ টি ডিম বসাতে হবে। মুরগির নিচে যদি রাজহাঁসের ডিম বসানো হয় তবে ডিম ঘোরানোর ব্যবস্থা খামারকারীকে নিজেই করতে হবে। কারন ডিম বড় আকারের বলে মুরগি রাজহাঁসের ডিম ঘোরাতে পারে না। 
মুরগি যখন খাবার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়ে যাবে তখনই ডিম ঘুরিয়ে দিতে হবে। প্রতিদিনই নিজে থেকে এই কাজ করতে হবে। ১৫ দিনের ডিম ঘোরানোর সময় কিছুটা গরম পানি ডিমের গায়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। অবশ্য রাজহাঁসের পানিতে বিচরণ করার সুবিধা থাকলে গরম পানি না ছিটিয়ে দিলে ও চলবে। 

কৃত্রিম ডিম ফোটানো
ডিম ফোটানো মেশিনে ( ইনকিউবেটার) ডিম ফোটানোর হার বেশ কম। মাত্র শতকরা ৪০ ভাগ। মেশিনে ডিম বসালে তাপমাত্রা সবসময় ৩৭.৪০ সেঃ (৯৯.৫০ ফাঃ) রাখবেন। ভেজা থার্মোমিটারে তাপ রাখতে হবে ৩২.২০ সেঃ ২৯ দিন পর্যন্ত। তারপর একে বাড়িয়ে করতে হবে ৩৪০ সেঃ। ডিমগুলি দিনে বার বার ঘুরিয়ে দিতে হবে। আর সব পাখির বেলায় যেটা চলে, এখানে ও তাই _ ডিমের মোটা দিকটা ওপরে রেখে দিতে হবে। 
দশ দিনের পরের থেকে ডিমগুলিকে গরম পানি সপ্রে করে দিতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন করে। ২৬ দিনের ডিমগুলিকে নার্সারি ট্রে বা পালক ট্রেতে নিয়ে যেতে হবে। ২৮ দিন হাল্কা জাতের রাজহাঁসের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে যায়। আবার এটাও দেখা গেছে ভারি জাতের রাজহাঁসের ডিম ফুটতে ৩৫ দিন সময় লাগছে। ডিম বসানোর দশ দিনের দিন আলোর সামনে ডিম ঘুরিয়ে ঝুঝে নেওয়া যায় ভ্রূণ হয়েছে রাজহাঁসের একদিনের বাচ্চার লিঙ্গ নির্ণয়ঃ মুরগির বাচ্চার মতো রাজহাঁসের বাচ্চার ও একদিনে বলে দেওয়া যায় কোনটা মাদি আর কোনটা মদ্দা। 

রাজহাঁসের বাচ্চা প্রতিপালন 
যদি মুরগি বা রাজহাঁস ডিমে তা দিয়ে ডিম ফুটিয়ে থাকে তবে সেই পালিকা মুরগি বা রাজহাঁস ডিম ফোটা বাচ্চাদের যত্ন করবে। সেখানে কৃত্রিম তাপের কোনো দরকার পড়বে না। তবে পালিকা মা বাচ্চা নিয়ে যে জায়গায় ঘুরে বেড়াবে সে জায়গাটা অবশ্যই শুকনো খটখটে হওয়া চাই। 
তবে দশদিন বয়স পর্যন্ত বাচ্চাসহ পালিকা মাকে নরম ঘাসে ছাওয়া উঠোন জাতীয় জায়গায় রাখা উচিত। লনের মাপ হবে ১০ টি বাচ্চার জন্য পালিকা মা সহ ৪ বর্গমিটার । ১৫ দিন বয়স না হলে বাচ্চাদের পানিতে নামনো মুক্তিযুক্তি নয়। 
যদি ইনকিউবেটর মেশিনে ডিম ফোটানো হয় তবে রু্রডারের নিচে রেখে অবশ্যই বাচ্চাদের কৃত্রিমভবে তাপ দিতে হবে। 
প্রথম সপ্তাহে ব্রুডারের নিচে ৩০ ডি. সেঃ তাপ থাকা উচিত। সপ্তাহ পিছু ৫ ডি. সেঃ তাপ কমিয়ে ঘরের তাপে অর্থাৎ পরিবেশের তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে। 
প্রথম তিনদিন বাচ্চাদের ধরে খাওয়াতে হবে। তারপর থেকে এরা নিজেরাই খেতে পারবে। বাচ্চারা সহজে ঘাসে চড়ে খেতে পারে। ফলে তৈরি খাবার কম লাগে। একসঙ্গে একটি দলে ১০০ টির বেশি বাচ্চা পালন না করাই উচিত। 

রাজহাঁসের বাচ্চাদের খাবার 
রাজহাঁসের খাবার মোটামুটি হাঁসের খাবারের মতো। তবে প্রথমে চার সপ্তাহ রাজহাঁসের বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে বলে বাচ্চা হাঁসের তুলনায় ওদের খাবারে আমিষের ভাগ বেশি হওয়া দরকার। ভারি জাতের রাজহাঁসের একদিনের বাচ্চার ওজন প্রায় ৮৫ গ্রাম। এবং ৪ সপ্তাহে এর ওজন ১ কেজি ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত। 
তাই রাজহাঁসের বাচ্চার প্রথম চার সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত শতকরা ২০ ভাগ আমিষ আছে এমন খাবার এবং অতিরিক্ত নরম কিছু সব্জি বা চরবার ঘাসে ছাওয়া উঠোন দরকার। ৪ সপ্তাহ পরে ১৬% আমিষ যুক্ত খাবার দিলে চলবে। 
ঘাসের চারণভুমিতে রাজহাঁসের বাচ্চা ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ কেজি। খাবার খেয়ে থাকে। ঐ বয়সে খাবারকে মাংসে পরিণত করার হার ২.২ কেজি। খাবার পিছু ১ কেজি মাংস। ১৬ সপ্তাহে ওটা দাঁড়ায় ৩ কেজি। খাবার পিছু ২.১ কেজি মাংস। 

প্রজননক্ষম রাজহাঁসের যত্নঃ প্রাপ্তবয়স্ক রাজহাঁসদের প্রজনন ঋতুর আগে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো ভাবে ঘাসে চরতে দিতে হবে। ওদের এই সময় প্রতিদিন ১৬৫ গ্রাম সুষম খাদ্য খেতে দিতে হবে যাতে আমিষের ভাগ থাকবে শতকরা ১৬ ভাগ। 

রাজহাঁসের রোগঃ রাজহাঁসের পালন তথা ব্যবসায় এটা একটা মস্ত সুবিধা যে এদের তেমন রোগ-ব্যধি হয় না। রোগের মড়ক নেই বললেই চলে। বাজারে বিক্রি করার বয়স পর্যন্ত মৃতু্যর হার শতকরা ২ ভাগ নয়। 
তবে রাজহাঁস পালনে এ সমস্ত রোগের সম্বন্ধে সচেতন হওয়া উচিত _ ককসিডিও _ সিস, কলেরা, কোরাইজ, স্পাইরোকিটোসিস, অপুষ্টিজনিত রোগ। 

মানুষের সেবায় রাজহাঁস- পাহারাদিরঃ রাজহাঁস তার পারিপার্শ্বিক প্রতিটি জিনিসের সঙ্গে খুব সহজেই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে এবং সেই সুবাদে যে কোন অপরিচিতি শব্দ, লোকজন, জন্তু, জানোয়ার দেখামাত্র হয়ে পড়ে এবং প্যাঁক-প্যাঁক শব্দ করে আশ পাশের সকলকে তটস্থ করে তোলে। এমনকি প্রবল উত্তেজনায় অনেক সময় আক্রমন পর্যন্ত করে বসে। আগেই বলা হয়েছে সব রাজহাঁসের মধ্যে পাহারাদারি কাজে চীনা রাজহাঁস দক্ষতম। 

রাজহাঁসের ডিম এবং মাংস 
অনেক দেশে এমন কি আমাদের দেশে ও কিছু কিছু জায়গায় রাজহাঁসের মাংস ও ডিম উপাদেয় খাবার হিসাবে আদর পেয়ে থাকে। ১০ সপ্তাহ বয়সে রাজহাঁস মাংস হিসেবে খাওয়া চলে।এবং সেই সময় ঐ মাংসের ব্যবসা ও ভালো চলে। দশ সপ্তাহ বয়সে রাজহাঁসের ওজন ৪.৫ কেজি হয়।মাংস হিসেবে কাটার আগে রাজহাঁসের পানি ছাড়া সবরকম খাবার খাওয়ানো বন্ধ করতে হবে ১২ থেকে ১৮ ঘন্টা আগে। মুরগি কাটার কায়দায় এবং সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রাজহাঁসের জুগুলোর শিরা কেটে দেওয়া হয়। সম্পূর্ন রক্ত বের হয়ে যাবার পর ওর পেট চিরে নাড়িভূড়ি বের করে নেওয়া হয়। পা, মাথা, ঠোঁট, কেটে বাদ দেওয়া হয়। মোটামুটি রাজহাঁস পিছু পালক,মাথা, নাড়ি ভুঁড়ি বাদ দিলে তার দেহের ওনের শতকরা ৭০ ভাগ মাংস পাওয়া যায়। 

রাজহাঁসের পালক বিক্রয় 
রাজহাঁসের পালক দিয়ে গদি, লেপ, তোষক, তাকিয়া, কুশন এককথায় বসবার এবং হেলান দেবার সব জিনিস তৈরি করা যায়। এই গদিফাদি তৈরির জন্য রাজহাঁসের বুক পিঠ এবং পেটের নরম পালকের খুব চাহিদা। 
রাজহাঁসের পালক চাইলে পালক তুলতে হবে রাজহাঁস যখন প্রথম ডিম পাড়া বন্ধ করবে। বছরে তিন থেকে চারবার এই পালক তোলা হয়। শীত কালে পালক তোলা যুক্তিযুক্ত নয়। ৫০ টি পূর্নবয়স্ক রাজহাঁস সাড়ে চার কেজি পালক দিতে পারে। 
পালক তোলার পর পালক থরিতে পুরে (কাপড়ের) আলো-বাতাসে এবং রোদে শুকোতে হবে। থলিতে ভরার আগে ফর্মালিন দিতে হবে। পালক খুব বেশি দিনের জন্য শকোতে হলে পালকে খুব ভালো করে গ্যামাক্মিন ( ২৫%) দিয়ে ঝেড়ে রেখে দিতে হবে।

0 comments:

Post a Comment