লাকসাম মিডিয়া গ্যালারী

#htmlcaption1 লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস লাকসাম মাল্টি-মিডিয়া হাউস lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected lakshamlive Stay Connected

Friday, 5 May 2017

ছোট নাটিকা

জুনিয়র প্রেমিক
লেখাঃ রাজিব (দরিদ্র বালক)
.
ঠাস করে একটা শব্দ, ডান গালে
তীব্র ব্যথা, চোখেমুখে অন্ধকার দেখছি! চোখ বন্ধ করে গালে হাত দিয়ে চুপ করে অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর চোখ খুলে দেখি মেয়েটি সামনে এখনো দাঁড়িয়ে আছে! চশমা পরা, রাগী চেহারা, রাগে মুখ লালচে
হয়ে আছে! কিছু একটা হয়েছে, কি
হয়েছে?এসো একটু পেছনে যাই...
ব্যস মাত্র পাঁচ মিনিট...
এসো...
"
পাঁচ মিনিট আগে- আমি ভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে ছিলাম বন্ধুদের সাথে! আড্ডা হচ্ছে, চরম আড্ডা! আড্ডার বিষয়বস্তু ইভটিজিং, মেয়েদের ডিস্টার্ব করা নিয়ে! ফেসবুকে এসব নিয়ে হালকা লেখালেখি করি, বন্ধুরা আমায় দাঁড় করিয়ে দিলো! আমি লাজুক টাইপের, তবে সুযোগ মিস করলাম না! বক্তৃতা দিতে বাঙালির আর যাইহোক, লজ্জ্বা লাগে না একদম! আমি জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিচ্ছি-মেয়েদের সন্মান দাও ভাইয়েরা আমার! ইজ্জ্বত দাও!
হঠাৎ চশমা পরা একটি মেয়ে এসে
আমার বক্তৃতা থামিয়ে উপস্থিত সবাইকে শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো,
-- নীল কে?
আমি ভয় পেলাম। এমনিতেই মেয়েদের থেকে সব সময় দুরে থাকি। তখনো বক্তৃতা থেকে বের হতে পারিনি! বক্তৃতার মতো করেই
বললাম,
-- জ্বি আপু, আপনি যে "নীল-কে"
খুঁজছেন সেই নীল আর কেউ না!
বন্ধুরা আমার, আমি... হুম...
আমিই নীল..!!
ব্যস ঠাস করে একটা আওয়াজ,
তারপর ডানগালে তীব্র ব্যথা! চোখেমুখে অন্ধকার দেখলাম! আমি চোখ খুললাম, চশমা পরা রাগী মেয়েটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে। পাশে আরো দুটি মেয়ে। মেয়ে একটাকেও আমি চিনিনা। গালে হাত দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি, লজ্জ্বায় চোখে পানি আসলো।
মেয়েটি রাগত স্বরে বললো,
-- সিনিয়র জুনিয়র বুঝিস? আমি
তোর এক বৎসরের সিনিয়র। তুই
আমারে চিঠি লিখিস্ কোন সাহসে? আর কোনদিন এসব দেখলে খোদার কসম তোর খবর আছে! চেহারাটা তো ভোলাভালা ভিতরে ভিতরে এতোকিছু..?
মেয়েটি হতভম্ব করে আমার সামনে
একটি চিঠি ফেলে চলে গেলো।
যাওয়ার আগে রাগী চোখের দৃষ্টি দিয়ে আরো কয়েকটা অদৃশ্য চড় দিয়ে গেলো! আমি চিঠি খুলে দেখি ওখানে লেখা-
-- রুপা, এক বৎসর সিনিয়র
জুনিয়র ব্যাপার না। আমি
তোমায় ভালোবাসি।→ইতি-নীল.
এটা আমি লিখিনি। প্রচন্ড লজ্জা লাগছে, এতোগুলা স্টুডেন্টের সামনে জীবনে প্রথমবারের মতো কোনো মেয়ের হাতে চড় খাওয়া। বন্ধুরা
অবাক হয়ে দেখছে আমায়, কাঁধে
হাত রেখে বললো,
- কোনো মিসটেক হইছে মেয়েটার। মন খারাপ করিস্ না। আমরা কথা বলবো ওর সাথে....।
বাসায় চলে আসলাম। রাতে প্রচন্ড জ্বর আসলো, পাঁচদিন পর্যন্ত প্রচন্ড জ্বরে ভুগলাম। টার্ম পরীক্ষা চলছিল আমাদের। দিতে পারলাম না।
"
ষষ্ঠ দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখি, মা কার সাথে কথা বলছে। অপরিচিত একটা আওয়াজ পেলাম।
কে এলো? ড্রইংরুমে গিয়ে দেখি চশমা পরা মেয়েটি। অজান্তেই আমার গালে হাত চলে আসলো। গালে হাত দিতে দেখে মেয়েটি লজ্জা পেলো। মা আমায় দেখে বললো,
-- হা করে কি দেখছিস? কথা বল।
আমি নাস্তা আনছি...
আমি সোফায় বসে চুপ করে আছি।
মেয়েটি চশমা খুলে হাতে রেখে
বললো,
-- আই এম এক্সট্রিমলি সরি। আসলে চিঠিটা আমার সিনিয়র একটা ভাই পাঠিয়েছিলো। ওনার নামও নীল। আমি উনাকে চিনতাম না। উনি আমার কোনো একটা ফ্রেন্ড
থেকে শুনেছিলেন যে, মাত্র এক
দুই বৎসরের সিনিয়র কারো সাথে আমার রিলেশনে জড়ানোর ইচ্ছে নেই। এজন্যই ভয়ে সামনে না এসে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আমি চিঠি পড়ে ভেবেছি জুনিয়র কোনো ছেলের কাজ এটা। খবর নিয়ে দেখলাম, ফার্স্ট ইয়ারে নীল নামে
একজনই আছে। তারপরে তো ওসব
হলো। আই এম সরি প্লিজ...!
আমি চুপ করে মেয়েটির দিকে
তাকিয়ে বললাম,
- না ঠিক আছে। আমি কিছু মনে
করিনি। (কি ভয়ংকর মিথ্যে কথা!)
রাগী এই মেয়েটির সাথে ভীষণ ভালো বন্ধুত্ব হলো আমার!
আমার এক বৎসরের সিনিয়র।
আমায় তুমি করে বলে, আমি আপনি
করে বলি। উনার দিক থেকে এটা
একটা স্রেফ বন্ধুত্ব ছিল, আমার দিক থেকে বন্ধনটা আরেকটু গাঢ় ছিল! (যারা বুঝোনাই, তাদের জন্যে একটু
নিরবতা)
আমরা প্রায়ই রিকশা নিয়ে ঘুরতাম অনেক জায়গায়। রুপা-ই আমায় নিয়ে যেতো। একবার ফুচকা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করেছিলাম,
-- এই শহরে আপনার প্রিয় জায়গা
কোথায়?
-- আছে একটা। মায়াপুরী পার্কের পাশের একটা রাস্তা, ছায়ায় ঘেরা, বেঞ্চি আছে বড় বড় ওখানে রাস্তার পাশে। যখন খুব মন খারাপ থাকে, কিছু একটা চাওয়ার থাকে যেটা
পাই না, তখন মন খারাপ নিয়ে ওখানে গিয়ে বসি! মন খারাপ কেটে যায়! চাওয়া টা পাওয়া হয়ে যায়...! আমি তাই এই জায়গার একটা নাম দিয়েছি, ইচ্ছেকথা....!
আমি হাসতাম। রুপা আমার
বাসায় আসা যাওয়া করতো, আমিও
যেতাম! ও প্রায়ই আমার রুমে
দেয়ালে আটকানো পঙ্খীরাজ
ঘোড়ার ছবিটা সম্পর্কে বলতো,
-- তোমার রুমের ঐ পঙ্খীরাজ
ঘোড়াটা আমার অনেক পছন্দের।
আমি একদিন এই ঘোড়ায় চড়ে
প্যারিস যাবো...।
-- প্যারিস?
-- হুম। এই জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে প্রচন্ড...!
অনেক সময় কেটেছিল মেয়েটির
সাথে আমার! একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম,
-- আচ্ছা, আপনি এক/দুই বৎসরের
সিনিয়রদের সাথে কেন রিলেশনে জড়াবেন না...?
রুপা উত্তর দিয়েছিলো,
-- ওরা রিলেশনে রেসপেক্ট ব্যাপারটা ভালো করে বোঝেনা। রিলেশনটা স্রেফ টাইমপাস নয়! ছেলে আর মেয়ের দাম্পত্য জীবনে ভাল  আন্ডারস্টান্ডিং এর জন্যে ওদের বয়সের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় বৎসরের গ্যাপ থাকা প্রয়োজন। এরা ভালবাসা বোঝে, রেসপেক্ট বোঝে, বন্ধন বোঝে, সংসার বোঝে। তাই আমার ইচ্ছা, আমার থেকে পাঁচ ছয় বৎসরের সিনিয়র কারো সাথে রিলেশনে জড়াবো। যাকে বিয়ে করতে পারবো! বুঝেছো...?
আমি ঢোক গিললাম আর মনে মনে বললাম, সর্বনাশ!
সবসময় এই মেয়ের আশেপাশে থেকে থেকে আমার ভয়ংকর একটা
ভুল হয়ে গিয়েছে। ভালবাসা জন্ম নিয়ে নিয়েছে। এর থেকেও সব্বোনেশে কথা হলো, আমি ওর
এক বৎসরের জুনিয়র। কি সাংঘাতিক সর্বনাশ!
চোখেমুখে অন্ধকার দেখছি
আমি! রুপার সাথে যোগাযোগ বন্ধ
করে থাকতেও পারছিনা। এর মধ্যে কাটা গাঁয়ে লবণ নয় একদম ঝাল ঘষে দিলো মেয়েটি!
সেটা কি? আসো শুনি....
কয়েক সপ্তাহ পর একদিন রুপা
একটা নিউজ দিলো, ওর আব্বুর
ফ্রেন্ডের ছেলে একটা পছন্দ করে ওকে। পুরো ফ্যামিলি দেখতে আসছে ওকে কাল। এনগেজমেন্ট হয়ে যেতে পারে। আমার তো অবস্থা খারাপ নিউজ শুনে। জানি না এত সাহস বুকের কোনপাশে ছিলো এতদিন! ঐ দিন দেখা করতে বলি ওকে, আর্জেন্ট। দেখা করতে আসলে পৃথিবীর সমস্ত সাহস বুকে
নিয়ে বলি,
-- আমি আপনাকে ভালবাসি। কোন
টাইমপাস রিলেশন নয়, সত্যিকারের ভালবাসি, সারাজীবন বাসবো...।
ঠাস করে একটা শব্দ, ডান গালে
তীব্র ব্যাথা, চোখে অন্ধকার
দেখলাম। মাথা ঘোরানো বন্ধ হতেই রুপার রাগান্বিত চেহারা সামনে দেখলাম। রুপা বললো,
-- তোমার সাহস তো কম না? একে
তো এক বৎসরের জুনিয়র তার
উপর এতদিনের বন্ধুত্ব.. সব পিষে ফ্যাললা...? ইডিয়ট!
কোনোদিন তুমি আমার সামনে
আসবানা..!
রুপা পেছন ফিরে চলে এলো আমায়
ফেলে। জীবনের প্রথম প্রেম, দ্বিতীয় চড় নিয়ে আমি একা দাঁড়িয়ে ছিলাম রাস্তায়। রাস্তায় এক টুকরো রোদেলা দুপুর ছিল, আর বুকের বাঁপাশে তীব্র ব্যথা! আমার চোখে অশ্রু! আচ্ছা, অশ্রুর সাথে ভালবাসার কোনো সম্পর্ক আছে? ভালবাসার মানুষটি চলে গেলে অশ্রু চলে আসে কোথা
থেকে?
"
পুরো তিনমাস কাটলো, ভুলতে পারছি না কিছুতেই ওকে। দাঁড়িগোঁফে জঙ্গল হয়ে আছে মুখটা। নিজের প্রতি যত্ন নেয়া হচ্ছে না অনেকদিন ধরে! কতদিন কথা হয়নি ওর সাথে। এতদিনে হয়তো এনগেজমেন্ট হয়ে গিয়েছে। বিয়েও হয়ে গিয়েছে হয়তো। ওদের বাসার
পাশেও যাইনি! ভার্সিটিও যাইনি! আজ রাস্তায় বের হয়ে হঠাৎ করে রুপার একটা ফ্রেন্ডের সাথে দেখা। এটা ঐ ফ্রেন্ড, প্রথম চড় খাওয়ার
সময় রুপার পাশে ছিলো!
জিজ্ঞেস করলাম,
-- রুপা কেমন আছে?
মেয়েটি উত্তর দিলো,
-- তোমার সাথেই তো ঘুরতো
ফিরতো, তুমি জানো না?
-- না, আসলে উনার এনগেজমেন্টের পর আর কথা হয়নি।
-- কার এনগেজমেন্ট? রুপার কোন এনগেজমেন্ট হয়নি!
-- কি বলছেন?
-- হ্যাঁ। ও তো ওর মাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যাকে ভালবাসে তাকেই বিয়ে করবে...।
আমার প্রচন্ড মন খারাপ হলো, কান্না ও পেলো! চেপে রেখে জিজ্ঞেস করলাম,
-- উনি কাউকে ভালোবাসেন?
-- হ্যাঁ।
-- কাকে?
-- সেটা আমি জানি না। কখনো
বলেনি। তবে মাঝে মাঝে দুষ্টুমি করে বলতো যে, ওর হবু হাজবেন্ডের রুমে একটা পঙ্খীরাজ ঘোড়া আছে, ঐ ঘোড়ায় চড়ে নাকি সে প্যারিস ঘুরে
আসবে! পাগলী একটা, ওর সব অদ্ভুত অদ্ভুত কথা...!
আমি হা করে তাকিয়ে আছি! চমক
কাটতেই জিজ্ঞেস করলাম,
-- এই কথা সে কখন বলেছে আপনাকে?
-- এই তো কয়েক মাস আগে..!
আমি হা হয়ে শুনছি। আচ্ছা, প্রচন্ড সুখ হঠাৎ করে আসলে, কি করে মানুষ? আমার কি করা উচিত? দৌড় দিলাম, আমি জানি রুপা কোথায় আছে...!
"
মায়াপুরী পার্কের পাশের রাস্তাটার একপাশে বেঞ্চিতে রুপা বসে আছে! চুপ করে! কি অদ্ভুত সুন্দর লাগছে
মেয়েটিকে! জায়গাটাও অদ্ভুত সুন্দর! ও.. এটাই ওর ইচ্ছেকথা! আমি চুপ করে আস্তে আস্তে এগোলাম। আমায় দেখে অবাক হয়ে দাঁড়ালো, ওর চোখে স্পষ্ট খুশি দেখতে পাচ্ছি আমি! চুপ করে দু'জন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। খেয়াল করলাম,
রুপার চোখে জল। আমি হাঁপাচ্ছি তখনো। রুপা কাঁদো কাঁদো মুখে বললো,
-- কিছু বলবে?
আমি পকেট থেকে একটা চিঠি বের
করে ওর হাতে দিলাম! রুপা চিঠি খুলে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, কারণ চিঠিতে লেখা-
-- রুপা, এক বৎসর সিনিয়র
জুনিয়র ব্যাপার না! আমি তোমায় ভালবাসি! (নীল)
আমি চুপ করে রুপার ক্রন্দনরত রাগী মুখের দিকে তাকিয়ে আছি! রুপা ধমক দিয়ে বললো,
-- অন্যের চিঠি দিয়ে প্রপোজ
করা হচ্ছে? মুখে বলো..!
সর্বনাশ! একদা প্রচন্ড সাহস
নিয়ে বলে ফেলেছিলাম ভালবাসি! এখন হঠাৎ করে এতো সাহস কই পাবো! কি করি? অতঃপর অনেকক্ষণ চুপ করে থাকার পর
নিঃশ্বাস বন্ধ করে বললাম,
-- আমি আপনাকে ভালবাসি, সারাজীবন ভালবাসবো!
সিনিয়র জুনিয়র কোন ব্যাপার না!
ভালবাসার কোন বয়স নেই..।
ঠাস করে একটা চড়। ডান গালে তীব্র ব্যাথা, চোখে অন্ধকার দেখলাম। মাথা ঘোরানো বন্ধ
হতেই দেখি চশমা পরা রাগী মেয়েটির চোখ থেকে অশ্রু টপটপ করে পড়ছে, মুখে হাসিও আছে! কি অদ্ভুত মেয়েরে বাবা!
চোখ, ঠোঁট আর হাত একসাথে চলে..!! কাঁদো স্বরে বললো,
-- এখনো আপনি করে বলছো? এত বোকা কেন তুমি? এখানে আসতে
এতটা সময় নিয়েছো কেন? কেন কিছু বোঝো না? মেয়েরা মুখ
ফুটে কিছু বলে...?
-- তোমায় দেখতে আসবে, মিথ্যে
কেন বলেছিলে?
-- পরীক্ষা নিয়েছি। ভালবাসো কিনা দেখতে?
-- তাহলে তখন ঐ বিহেভ কেন
করেছিলে?
-- ওটাও পরীক্ষা ছিলো! এতটা সময় কাছাকাছি, পাশাপাশি ছিলে! কেমন বুঝেছো আমায় এতদিনে সেটার পরীক্ষা..!
-- মানলাম বয়সে বড়, তাই বলে
ম্যাডামদের মতো পরীক্ষা নিবা?
মেয়েটি চুপ করে হাসছে!
জিজ্ঞেস করলাম,
-- পরীক্ষায় আমি কি পাস করেছি?
-- গোল্লা পেয়েছো! ছেড়ে চলে
গিয়েছো। কিছুই বোঝোনা তুমি। আমি বললেও কখনো আমায়
ছাড়বানা। গাধা, এই জায়গায় আসতে তোমার তিন মাস সময়
লেগেছে..!
আমি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে
আছি। মেয়েটির চোখে জল। শক্ত
করে জড়িয়ে ধরলাম মেয়েটিকে।
মেয়েটি চশমা পরে কাঁদছে, চশমাটা খুলে নিয়ে চোখ দু'টো মুছে দিলাম! বললাম,
-- অদ্ভুত সুন্দর তুমি..!
মেয়েটি বুকে মুখ গুজিয়েছে
ততক্ষণে। বললো,
-- তাই?
-- হুম। একদম সুনীলের কবিতার
মতো সুন্দর..!
মেয়েটি হাসছে! হাসতে হাসতে
আমায় আরো শক্ত করে দু'হাতে
জড়িয়ে ধরলো! বললো,
-- খুব খুব খুব ভালবাসি তোমায়...! অনেক কষ্ট দিয়েছি। সরি! তুমিও আমায় না বুঝে অনেক কষ্ট দিয়েছো, সরি বলো...
ধমক দিচ্ছে! হায় খোদা! আমি
ধমক হজম করে বললাম,
-- সরি..! আচ্ছা, আমি যদি না আসতাম এখানে কখনো।
-- এটা আমার ইচ্ছেকথা, আসতেই
হতো তোমাকে....!
দু'জন একে অপরকে শক্ত করে
জড়িয়ে ইচ্ছেকথায় দাঁড়িয়ে থেকে আমার হঠাৎ করে মনে হলো, এই মেয়েটিকে এখন মোটেও এক
বৎসরের সিনিয়র বলে মনে হচ্ছে না! বুকে জড়িয়ে ধরলেই কি এই মেয়ের বয়স কমে যায়? কি অদ্ভুত মেয়েরে বাবা....!!!
...............................................
অতএব পর সেই আমি→রাজিব.
(দরিদ্র বালক_একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যস্ত বেকার)

0 comments:

Post a Comment